পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ প্রতিনিয়ত যাত্রী সুবিধার্থে কাজ করে চলেছে ভারতীয় রেল। রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষ লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমেই কর্মক্ষেত্রে বা দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন। তাছাড়া নতুন রেলপথ থেকে শুরু করে নতুন রুটের ট্রেন এমনকি অত্যাধুনিক বন্দে ভারত লঞ্চ হয়েই চলেছে। তবে একটা অভিযোগ বরাবর আসে সেটা হল ট্রেনের গতি, তাই এবার গতি সংক্রান্ত কিছু নিয়মে বদল কর রেল কর্তৃপক্ষ।
বদলে গেল ভারতীয় রেলের ‘হাই স্পিড’ ট্রেনের সংজ্ঞা
দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে এক্সপ্রেস ট্রেন বললেও তার মধ্যে কিছু ভাগ রয়েছে, যেমন সেমি-হাই স্পিড ও হাই স্পিড। এতদিন ঘন্টায় ১১০ কিমি বেগে চললেই সেটিকে হাই স্পিড ট্রেন বলা হত। তবে এবার সেই নিয়মে বদল হচ্ছে। রেলওয়ে বর্ডার স্থানীয় বহু-শাখা কমিটির তরফ থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েই বদলে যাচ্ছে হাই-স্পিডের অর্থ।
নতুন নিয়মে কারা পাবে ‘হাই-স্পিড’ ট্রেনের তকমা?
এখন থেকে ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে চললে তবেই সেটিকে হাই-স্পিড ট্রেন বলা হবে। আসলে এর আগে ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানো সম্ভব হলেও দুর্বল সিগনালিং থেকে শুরু করে লাইনের অবস্থার জেরে সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব হত না। তবে এবার অত্যাধুনিক ট্র্যাক আর উন্নত সিগন্যালিংয়ের পাশাপাশি নয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার জেরে গতি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের চাপ সামলানোর জন্য ট্রেনের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন আবশ্যক হয়ে পড়েছিল।
এক্ষেত্রে অবশ্য চালকদের জন্যও নিয়মের বেশ কিছু বদল হয়েছে। ১৩০ কিমি বেগে ট্রেন চালানোর জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট (ALP) মোতায়েন করা হবে। আর ALP হতে গেলে কম্পিউটার অ্যাপটিটিউড টেস্ট পাশ করতে হবে সাথে কমপক্ষে ৬০,০০০ কিমি ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একইসাথে ইঞ্জিনে ক্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও রেকর্ডিং সিস্টেম (CVVRS) এবং ফগ সেভ ডিভাইস লাগানোরও সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আরও আরামদায়ক হবে হাওড়া-মালদা যাত্রা, চালুর পথে নমো ভারত? দেখুন সময়সূচি সহ ভাড়া
কোন রুটে চলবে হাই-স্পিড ট্র্রেন?
রেল বোর্ডের না যা নিয়ম অনুযায়ী, বেশ কিছু রুট চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে ‘হাই স্পিড’ ট্রেন চালানো যাবে। সেগুলি হল, উত্তর-পূর্ব রেলের লখনউ-গোরখপুর-ছপরা রুট ও গোরখপুর-প্রয়াগরাজ রুট। আশা করা হচ্ছে এই গতিবৃদ্ধির ফলে যাত্রীদের সময়ের সাশ্রয় হবে।