পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বিগত ২২ শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হওয়া জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। প্রথমে ভারত বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে, পরবর্তীতে পাকিস্তানওপাল্টা নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সম্পর্ক তলানিতে এসে থেকেছে। আর এরই মাঝে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ বাণিজ্যিক সম্পর্ক
ভারতের সরকারের তরফ থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আর কোনও পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করা হবে না। যার ফলে পাকিস্তান যে সমস্ত পণ্য আমদানি করা হত, তার সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পাকিস্তান থেকে কী কী আমদানি করত ভারত? আর ভারত থেকেই বা কী কী যেত? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পাকিস্তান থেকে কী কী আমদানি হত ভারতে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে ভারতে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল যেমন খেজুর, আঙুর, আপেল ও আম। বাদাম ও অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটও আসত। এছাড়া তৈলবীজ, তুলো ও তুলোর কাপড়, সিমেন্ট, জিপসাম, সালফার, তামা, কাচের সামগ্রী ও প্লাস্টিকের কিছু উপাদানও আমদানি হত।
রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৪ সালে এই পণ্যের মধ্যে ফলমূল, ড্রাই ফ্রুট, প্লাস্টিক সামগ্রী, তুলো, সালফার ও সিমেন্টের আমদানি উল্লেখযোগ্য ছিল। মোট আমদানির পরিমাণ হিসাব করলে সেটা ২৫.৩৪ কোটির আশেপাশে দাঁড়াবে।
ভারতের থেকে কী কী যেত পাকিস্তানে?
শুধু যে ভারতই পাকিস্তানের থেকে আমদানি করত তেমনটা কিন্তু মোটেই নয়। ভারতের থেকেও প্রচুর সামগ্রী পাকিস্তানে যেত। এর মধ্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, জৈব ও রাসায়নিক দ্রব্য, দুগ্ধজাত পণ্য, চিনি, ময়দা, সাবান, খনিজ জ্বালানি থেকে শুরু করে সবজিও ছিল। হিসেবে মত পাকিস্তানের মেডিক্যাল ও কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সবটাই ভারতের থেকে যাওয়া উপাদানের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুনঃ UPI ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, কোটি কোটি মানুষের স্বার্থে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার
রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই প্রায় ১,৩৮৮ কোটি টাকার বায়ো কেমিক্যাল, ১,০২২ কোটি টাকার ওষুধ এছাড়া প্লাস্টিক ও খনিজ তেল মিলিয়ে ৬৩ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের দ্রব্যাদি রফতানি হয়েছিল। অৰ্থাৎ পাকিস্তানের থেমেক আমদানির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রফতানি হত।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার সময়েও পাকিস্তান ভারতের সাথে বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ফের আমদানি রফতানি চালু। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঘন্য সন্ত্রাসবাদী হামলা পুনরায় ২০১৯ এর স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।