সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিংবদন্তি গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। আর তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই জনতা নিজেদের এক পশলা ক্ষোভ মিটিয়েছে রূপঙ্করের উপর। প্রবল সমালোচনা হয়েছে আয়োজকদেরও। তবে এই সবকিছুর বাইরেও ‘কে কে’ এর মৃত্যু সকলকেই নিজেদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আরেকবার ভাবতে করেছে তা বলাইবাহুল্য। এমতাবস্থায় লাখ লাখ দর্শকের সামনে কীভাবে নিজেকে সতেজ রাখা সম্ভব, তার উত্তর নিয়ে হাজির হলেন খোদ রূপঙ্কর বাগচী।
একজন সঙ্গীত শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড়ো পাওনা হলো শ্রোতাদের মুগ্ধতা। লাখ লাখ শ্রোতার মাঝে দাঁড়িয়ে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে একের পর এক গান গেয়ে যান তারা। প্রতিদানে যখন হাততালির ঝড় বয়ে যায়, স্বাভাবিক ভাবেই শিল্পীর কাছে তা বড়ো প্রাপ্তি। নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে পারফর্ম করেন তারা। সেই সময় লক্ষ একটাই, সঙ্গীত পিপাসু এই মানুষগুলির একজনও যেন নিরাশ না হয়। কিন্তু এতজনের প্রত্যাশা পূরণ করা কি এতোই সহজ? শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণের সাথে সাথে নিজেদের শরীরের খেয়ালও যে রাখা উচিত তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী।
রূপঙ্করের কথায়, একজন শিল্পী যখন লাখ লাখ শ্রোতার মাঝে একের পর এক গান গেয়ে যান স্বাভাবিকভাবেই তখন ক্লান্তি ঘিরে ধরে তাকে, তা সেই অনুষ্ঠান কোনও বদ্ধ হলেই হোক বা খোলা মাঠে। এর সাথে তিনি আরও যোগ করেছেন যে, মঞ্চ যে কোনও জায়াগাতেই হোক না কেন একজন শিল্পীর তার ফিটনেসের দিকে সর্বদা নজর দেওয়া উচিত। গোটা বিশ্বজুড়েই স্টেজ শো করেন শিল্পীরা। এইদিন রূপঙ্কর বলেন, নিজের সুরের জাদুতে মঞ্চ কাঁপানোর ব্যাপারটা এতোটাও সহজ নয়, এর জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষতা, ধৈর্য্য এবং একাগ্রতা।
এর সাথে সাথে নিজের সমস্ত সঙ্গীত সতীর্থদের আবেদন জানান, তারাও যেন নিজের সাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেন। তিনি বলেন, ‘আমিও শিল্প জগতের মানুষ। সকলেই আমরা এক পরিবারের মতো। আমার সতীর্থদের অনুরোধ করব যে সমস্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত শারীরিক ধকল যায় সেক্ষেত্রে নিজের দিকেও একটু যত্ন নিন। আগে থেকেই একটু নজর নিজের দিকে দিন না!’
এইদিন কিছু টিপস্ও দেন তিন। যেমন, শো’এর আগেই জল বা গ্লুকোজের ব্যবস্থা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। টানা পারফর্ম করার ফলে শারিরীক পরিশ্রমও যথেষ্ট হয় বৈকি, এমতাবস্থায় কিছু হালকা খাবার দাবার সাথে রাখা জরুরী। কলা বা ডার্ক চকোলেটের মতো খাবার খুব কাজে দেয় এই পরিস্থিতিতে। এর সাথেই তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে, শরীরটাই সম্পদ। এছাড়া বদ্ধ জায়গাতে পারফর্ম করলে শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের কতটা প্রয়োজন সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।