শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ডিভোর্স আর বিয়ের তারতম্য নিয়ে এখন উত্তাল টলিপাড়া। আজকের প্রেম কালকে গিয়ে বিবর্ণ। এই ক্ষেত্রে কাঞ্চন মল্লিকের নাম আসে সর্বাগ্রে। প্রেমের খাতায় তিনি মহান। বিবাহজীবন থেকে প্রেমজীবন সবই ফ্যানেদের মুখে মুখে। তাঁকে নিয়ে মিমেও ছয়লাপ থাকে সোশ্যাল মিডিয়া।
জানেন কাঞ্চন মল্লিকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে, অনেকেই তাঁর প্রথম জীবন সম্পর্কে জানেন না। সোশ্যাল মিডিয়ার নীতিপুলিশ এখনও খোঁজ রাখে না যে কাঞ্চনের প্রথম স্ত্রী কে ছিলেন। তাঁর রূপও কিন্তু নিতান্তই কম নয়। তবে, কথায় আছে না যে অতি সুন্দরীর ঘর হয় না। তাঁর ক্ষেত্রেও হয়ত একই কান্ড হয়েছে। যদিও কাঞ্চনের সঙ্গে ডিভোর্সের পর আর বিয়ে করেননি তিনি।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আগেই অনিন্দিতাকে বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক। ছয় বছরের সংসার ভেঙে যায়। ডিভোর্সের পর খোরপোশ নেননি অনিন্দিতা। কোনও মন্তব্যও ঠোকেননি। বোঝা যায়, বেশ শান্তিপ্রিয় মহিলা উত্তরবঙ্গে মাথাভাঙ্গার মেয়ে অনিন্দিতা। কাঞ্চনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী অর্থাৎ পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীময়ী চট্টোরাজ। তাঁদের থেকে অনেক কম চর্চায় থাকেন অভিনেতার প্রথম স্ত্রী অনিন্দিতা দাস। বর্তমানে জি বাংলার ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকে নায়ক ঋত্বিকের মায়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অনিন্দিতা দাসকে। সেভাবে কখনোই কাঞ্চনকে নিয়ে কথা বলেন না তিনি।
যদিও কাঞ্চনের তৃতীয় বিয়ের সময় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রেম, ভালোবাসার কোনও জায়গা নেই। অতীতে সম্পর্ক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়। আর ন্যাড়া বেলতলায় দুইবার যায় না। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হোক বা সঙ্গী নির্বাচন, সবকিছুই এখন স্থগিত। একারই সংসার, কলকাতার এক ফ্ল্যাটে। মা-বাবার সঙ্গে থাকেন। পোষ্যকেই সন্তানভাবেন। ছোট্ট একটি পোষ্য বিড়াল রয়েছে অনিন্দিতার। নাম তার মাম্বো। অভিনয় ও লেখালেখি নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত তিনি। এমনিতেই ট্যালেন্টেড ভীষণ। রবীন্দ্রভারতী থেকে কলা বিভাগে পড়াশোনা। কেন্দ্রীয় সরকারের স্কলারশিপও পেয়েছেন। সংগীত চর্চায় রিসার্চ করেছেন। পেয়েছেন ডক্টরেট উপাধি। বইও লিখেছেন।