Papiya Paul

শিমুলের পাশে দাঁড়ালো শ্বাশুড়ি মা! পরাগকে উচিত জবাব দিয়ে চুপ করালো মধুবালা, খুশি দর্শকেরা

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের মধ্যে সবসময় আলোচনা চলে। এক কথায় ‘জি বাংলা’র(Zee Bangla) সবথেকে চরিত্র ধারাবাহিক এটি। একজন গৃহবধূর বাস্তব জীবনের চিত্রধারা এই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে। অভিনেত্রী মানালি দে(Manali Dey) শিমুলের চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রত্যেক পর্বেই টানটান উত্তেজনা রাখছেন নির্মাতারা।

   

এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকেরা জানেন, শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা ঘুরতে যাওয়ার জন্য ছেলেদের কাছে টাকা চাইতে এলে কেউ তাকে টাকা দেয় না। এমনকি ঘুরতে যেতে ও নিষেধ করে। অন্যদিকে শিমুল তার নিজের বাবার দেওয়া গয়না বন্দক দিয়ে শাশুড়িকে ঘুরতে যাবার জন্য টাকা জোগাড় করে দেয়। ঘুরতে যাবার জন্য ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেডি হয়ে যায় তখন পরাগ এবং পলাশ টাকা কোথা থেকে পেয়েছে একই প্রশ্ন করতে থাকে।

আবার প্রতীক্ষা ও কাকিমা সবাই মিলে এই টাকার প্রশ্ন করে। এরপর এই শিমুল যখন বলে টাকাটা যখন তারা দেয় নি, তাই শোধ করার দায়টাও তাদের না। তখন পুতুল হঠাৎ করে বলে ওঠে, টাকাটা তাহলে বউ দিয়েছে। এই কথা শুনে চক্ষু চড়কগাছ হয় পরাগের। শিমুল কোথা থেকে এত টাকা পেল। এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। আর অশান্তি যখন চরম পর্যায়ের যায় তখন আর চুপ থাকেননি মধুবালা। তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হন।

এরপরই মধুবালা বলে যে, তোমরা তো সব মুখ ফিরিয়ে নিলে তখন বৌমা নিজের গয়না বন্ধক রেখে  আমাকে টাকাটা এনে দিয়েছে। এই কথাটা আমি এখন বলতে চাইনি কিন্তু আমি আগে কদিন থাকব না আবার কি নাকি সমস্যা হবে তাই বলে দিলাম। আর মায়ের মুখে এই কথা শুনে লজ্জায় মুখ ছোট হয়ে যায় পরাগ এবং পলাশের। এরপরেই শিমুলের শাশুড়ি মা শিমুলকে বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব, পুতুলের দায়িত্ব দিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পান।

এরপরই রাতের বেলা শিমুলের ঘরে চলে আসে পুতুল। কারণ সে কোনদিন একা মাকে ছাড়া থাকেনি। তাই যাতে ভয় না হয় সেজন্য শিমুল তার সঙ্গেই থাকে। তাহলে বৌমার প্রতি কি মন গলল মধুবালার?  এভাবেই কি সংসারের সব দায়িত্ব শিমুলের উপর ছেড়ে দেবেন তিনি? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী পর্বগুলোতে।