বন্ধ পেনশন থেকে অবসরকালীন সুবিধা! কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মীদের মাথায় বাজ ফেলল কলকাতা হাইকোর্ট

Kolkata High Court says not Retirement Benefits for contractual workers without State Govt approval

বন্ধ পেনশন থেকে অবসরকালীন সুবিধা! কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মীদের মাথায় বাজ ফেলল কলকাতা হাইকোর্ট

Partha Sarathi Manna

Published on:

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে একেরপর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল আমলের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্য রাজনীতি। এবার এরই মাঝে বাম আমলের দুর্নীতি সামনে এল। আর তারপরেই বড়সড় রাই দিল হাইকোর্ট।

প্রকাশ্যে বাম জামানার দুর্নীতি

বাম আমলে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে ব্যাপক পরিমাণে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। এর মধ্যে এমন অনেক কর্মী রয়েছেন যাদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়নি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সেই সমস্ত কর্মীরা অবসরের পর পেনশন পাবেন কি না এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এদিন বিচারপতি কৌশিক চন্দের ঘরে উঠেছিল মামলা। শুনানিতে কি বললেন বিচারপতি?

মিলবে না পেনশনের সুবিধা জানালো কলকাতা হাইকোর্ট

এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, বাম আমলে যে সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি তাদের অবসরকালীন সুবিধা প্রদান করা হবে না। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে এই ধরণের নিয়োগে সমস্যা নেই, কারণ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে নিয়োগ হয়েছে সেগুলিকে সরকার অনুমোদন দিয়েছে।

আদালতের সিদ্ধান্তে বিপাকে লক্ষাধিক কর্মী

আদালতের এই রায় বেরোতেই কার্যত বিপাকে পড়েছেন বাম আমলের লক্ষাধিক কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি থাকলেও সরকারি অনুমোদন না মেলায় অবসরকালীন কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না। এমতাবস্থায় মামলাকারীরা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হবে কি না সেটাই দেখার।

আসলে পুরসভার আইন অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মীদেরও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন দেওয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু বাম আমলে নিয়োগের ইচ্ছামত নিয়োগ করা হয়েছে পুরসভায়। এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের তরফ থেকেই। এবার সিম মামলার শুনানিতেই অনুমোদন না থাকলে অবসরকালীন সুবিধা মিলবে না জানিয়ে দিল আদালত।

আরও পড়ুনঃ সারেগামাপার বিজয়ী দেয়াশিনী এবং অতনু! বাকিদের কী খবর?

প্রসঙ্গত, রাজ্যের দুই দলের তরফ থেকে নিয়োগের অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠলেও সিপিআইএম এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর মামলাকারীরা চাইলে এই কেস নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতেই পারেন।

সঙ্গে থাকুন ➥