শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: চালু করা হয়ে গিয়েছে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)। বহু প্রতীক্ষিত প্রজেক্টের ফিতে কাটল এদিন। যাত্রীদের জন্য সুখবর। নিয়মিত যদি মেট্রোয় (Kolkata Metro) যাতায়াত করেন, তাহলে এই খবর শোনার পর যারপরনাই খুশি হয়ে যাবেন। জানা গিয়েছে, পার্পল লাইনের বহু প্রতীক্ষিত টানেলের কাজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। টিওআই অনুসারে, এই বিশাল মেশিনগুলি খিদিরপুর এবং পার্ক স্ট্রিটের মধ্যে ২.৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি জোড়া টানেল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
সারা দেশের জন্য বিস্ময় এটাই!
জানা গিয়েছে, সুদূর তামিললাড়ু থেকে ১৬০০ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করে এই দুটি বিশালাকার টিবিএম মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে। এদের দৈর্ঘ্য ও ওজন আপনাকে চমকে দেবে। এই মেশিনের এমন সব বৈশিষ্ট রয়েছে যে এগুলো শুধু কলকাতায় নয় বরং গোটা দেশের কাছে বিস্ময়।
- দুটি টিবিএম বিশাল, প্রতিটি ৯০ মিটার লম্বা এবং ৬৫০ টন ওজনের।
- এগুলি তামিলনাড়ুর আলিঞ্জিভাক্কামে হেরেনকনেচটের কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল।
- কলকাতায় আনার জন্য, মেশিনগুলিকে ১৮টি অংশে ভেঙে ১,৬৫৩ কিলোমিটার রাস্তা ধরে আনা হয়েছিল।
- আরও বড় বিষয় হল দেশে এই প্রথম কলকাতা মেট্রোতেই এত বড় মেশিন দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাই এটা রেকর্ডই বটে।
আরও পড়ুন: ITR ফাইল করেও ট্যাক্স বাঁচাবেন কীভাবে? ধাপে ধাপে দাখিল করার পদ্ধতি জানুন …!
সুড়ঙ্গ কাটার কাজ কতদূর এগিয়ে গেল?
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই, মেশিনগুলি সেন্ট থমাস বয়েজ স্কুলের কাছে ট্রেলারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ১৭ মিটার গভীর একটি খাদ খনন করা হয়েছে। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে মেশিনগুলি মাটির নিচে একত্রিত করারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, জুনের শেষের দিকে প্রথম টানেল ড্রাইভ অর্থাৎ সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হওয়ার আশা করা যেতে পারে।
- ঠিকাদার লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এলএন্ডটি) খিদিরপুর এবং পার্ক স্ট্রিটের মধ্যে ২.৬৫ কিলোমিটার জোড়া টানেল নির্মাণের কাজ করছে।
- প্রথমে সেন্ট থমাস স্কুল থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কাজটি হবে।
- দ্বিতীয় ধাপে ভিক্টোরিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত ৯৫০ মিটার লম্বা করে কাজ হবে।
- এরপর পার্ক স্ট্রিট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত শেষ অংশটি কাট-এন্ড-কভার পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে।
জানা গিয়েছে, পার্পল লাইনে মোট চারটি স্টেশন থাকবে যথা খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড। যদিও সূত্রের খবর, একবালপুরে কলকাতা পুলিশের বডিগার্ড লাইনে প্রয়োজনীয় জমি এখনও পাওয়া যায়নি। তাই খিদিরপুর স্টেশন নিয়ে অনিশ্চয়তা বর্তমান। কর্মকর্তারা আবার বলছেন, রাজ্য সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করেও এখনও কোনও উত্তর আসেনি।