পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সময়ের সাথে সাথে সরকারি কাজেরও ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। একসময় যেখানে বাড়ির ট্যাক্স থেকে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য পৌরসভা বা পঞ্চায়েতে দৌড়াতে হত এখন অনলাইনেই সেসব কাজ মিটে যায়। এবার জানা যাচ্ছে জমি বাড়ির দলিলের সার্টিফায়েড কপিও পাওয়া যাবে অনলাইনেই। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশি আমজনতা।
অনলাইনেই মিলবে জমি-বাড়ির দলিলের সার্টিফায়েড কপি
বিভিন্ন কাজের জন্য জমি বাড়ির দলিলের সার্ফিফায়েড কপি প্রয়োজন হয়। মার্ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ করলেই এই কপি পাওয়া সম্ভব ঠিকই। তবে পৌরসভা হোক বা পঞ্চায়েত দালাল থেকে শুরু করে ওঅসধু চক্রের জেরে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা এমনকি ৫০০০ টাকাও খরচ হয়।
আসলে জমির মিউটেশন থেকে নতুন বিদ্যুতের কানেকশন বা মিটারের নাম চেঞ্জ করতে হলে জমির দলিলের সার্টিফায়েড কপি জমা দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কম খরচ কাজ হওয়ার কথা থাকলেও রীতিমত নাজেহাল হতে হয়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতেই রাজ্যের তরফ থেকেই অনালাইন পক্রিয়া চালু করা হচ্ছে।
সার্টিফায়েড কপি তোলার জন্য খরচ কত?
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় জমির মালিক একাধিক, এক্ষেত্রে একজনের কাছে অরিজিনাল কপি ও বাকিদের কাছে সার্টিফায়েড কপি থাকে। এছাড়া ব্যাঙ্ক থেকে যদি মর্ডগেজ দিয়ে লোন তুলতে চান সেক্ষেত্রেও আসল কপি ব্যাঙ্ককে দিয়ে সার্টিফায়েড কপি নিজের কাছে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে এই কপি তোলার জন্য সরকারি হাইবে ১০ টাকার কোর্ট ফি, ১০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ২ টাকা সার্চিং ফি, পি প্রতিটা পাতার জন্য ৭.৫ টাকা হিসাবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
৩ কোটি দলিলের ডিজিটালাইজেশন সম্পন্ন
রাজ্যবাসীর সাথে হওয়া এই হয়রানি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সাল অবধি ৩ কোটি দলিলের ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এরপর সেগুলি যাচাই করে সরকারি পোর্টালে তোলা হয়েছে। তারপরেই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সার্ফিফায়েড কপি অনলাইন থেকেই ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! এই মাস থেকেই পাইপের মাধ্যমে রান্নাঘরে আসবে সস্তার গ্যাস, সুখবর দিল BGC
অবশ্য যদি অনলাইনে না পাওয়া যায় তাহলে অফলাইনে আবেদন করা যেতেই পারে। আর যদি কেউ নিজে থেকে অনলাইনে সার্টিফায়েড কপির জন্য তাহলে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেও এই সুবিধা পেতে পারেন।