Papiya Paul

দেবীরুপে পুজিত হন লতা মঙ্গেশকর, গায়িকার নামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন এক ভক্ত! ঘটনা জানলে অবাক হবেন

নিউজশর্ট ডেস্কঃ লতা মঙ্গেশকর(Lata Mangeshkar), আমাদের দেশে যে কয়েকজন কিংবদন্তি গায়ক-গায়িকা রয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা তিনি। তাকে সকলেই বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তার সুরের জাদুতে তিনি মুগ্ধ করেছেন সকল শ্রোতাদের। এককথায় তিনি ছিলেন দেশের রত্ন। এই মহান গায়িকার অনুরাগীর সংখ্যা যে কত হতে পারে তা ধারণাতেও ব্যক্ত করা সম্ভব নয়।

   

যেকোনো সংগীত শিল্পীর কাছে লতা মঙ্গেশকর হলেন সাক্ষাৎ সরস্বতী। তার আশীর্বাদে বহু গায়ক-গায়িকা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন। এই গায়িকার বহু পাগল করা ভক্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন রাজিব দেশমুখ। লতা মঙ্গেশকরের যেকোনো কনসার্টে তিনি উপস্থিত থাকতেন। লতাজির প্রতি তার ভক্তি এতটাই বেশি যে তিনি তার বাড়িতে লতাজির নামে একটি মন্দির তৈরি করেছেন। এই মন্দিরে প্রয়াত গায়িকার নামে পুজো দেন তিনি।

গতবছর ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে গমন করেন লতা মঙ্গেশকর। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রাজীব দেশমুখ। মন্দিরের ভেতরে লতা মঙ্গেশকরের একটি মূর্তি রয়েছে। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে এসে মূর্তিতে পুজো করা হয়। সেই মূর্তির গলায় মালা পরানো হয়। সেই মন্দিরে লতাজি রেকর্ড করা একটি গানও চালানো হয়। একটি সাক্ষাৎকারে লতাজির প্রতি সম্মান জানিয়ে রাজীব বলেছিলেন যে তিনি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তেন তখন লতাজির সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাই চলে যান। যদিও সে সময় পুলিশ থেকে রাস্তায় একা দেখে বাড়িতে ফেরত দিয়ে আসেন।

এরপর ১৯৮২ সালে লতাজির একটি অনুষ্ঠান দেখার জন্য বিদেশে পৌঁছে যান রাজিব। সেই বারেও তিনি লতাজির দেখা পাননি। এরপর ১৯৮৭ সালে তার ভাগ্য ফেরে। প্রথমবার লতাজিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান তিনি। সেদিনই তার জীবনের সব থেকে বড় স্বপ্নপূরণ হয়েছিল বলে জানান। রাজিবের স্ত্রী শুভাঙ্গী বলেন যে লতা মঙ্গেশকর তাদের কাছে কোন দেবীর চেয়ে কম নন। তাদের বাড়ির ভিতরে লতা মঙ্গেশকরের ছবি টানানো আছে। প্রসঙ্গত, ৩৬ টি ভাষায় ৩০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছিলেন লতাজী। তাকে ‘নাইটেঙ্গেল অফ ইন্ডিয়া’ নামে ডাকা হত।