আর কয়েকটা দিন পেরোলেই শুরু বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। আর এবার পঞ্চমী টু দশমী দুর্গাপুজোর উৎসবে যাত্রীদের সেবা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূর্ব রেল বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুজোর দিনগুলোতে হাওড়া ও শিয়ালদহ দুই ডিভিশনে গভীর রাতের লোকাল ট্রেন চালানো হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
টিকিট কাটার সুবিধা ও সহায়তা ব্যবস্থা
যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হবে না, তার জন্য হাওড়া ও শিয়ালদহের বড় স্টেশনগুলোতে বাড়তি টিকিট কাউন্টার খোলা হবে। বর্তমানে হাওড়া স্টেশনে ২৪টি কাউন্টার রয়েছে, পুজোর সময় তা বেড়ে ৩০টি করে দেওয়া হবে। এছাড়া, সকল স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনও চালু রাখা হবে, যাতে যাত্রীরা সহজে ও দ্রুত টিকিট কাটতে পারেন।
বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনগুলোতে সহায়তার জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে। তারা যাত্রীদের টিকিট কাটতে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে সাহায্য করবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য মেডিকেল হেল্প বুথও রাখা হবে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সহায়তা পাওয়া যায়।
গভীর রাতের ট্রেনের সময়সূচি
হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড শাখায় সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে গভীর রাতে ট্রেন চালানো হবে। সিনিয়র DCM রাহুল রঞ্জন জানিয়েছেন, হাওড়া থেকে রাত ১১.৪৫, ২.৪৫ ও ২টার সময়ে আপ ট্রেনগুলি ছাড়বে। শিয়ালদহ দক্ষিণ, বনগাঁ ও মেন শাখাতেও একইভাবে গভীর রাতে ট্রেন চলবে।
যাত্রী নিরাপত্তা
পুজোর সময়ে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূর্ব রেল এবার কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না। জিআরপির পাশাপাশি হাওড়া ও শিয়ালদহসহ বড় স্টেশনগুলোতে ৫০০ আরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হবে, যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা সর্বাধিক নিশ্চিত হয়।
পুজোর বিশেষ খাবার
পুজোর দিনগুলোতে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন ও হাওড়া ও শিয়ালদহের ফুডপ্লাজা ও রেস্তরাঁগুলোতে খাবারের জন্য সাত্বিক ও পুজোর বিশেষ মেনু থাকবে। যাত্রীদের খাবারের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা উৎসবের দিনগুলোতে ভালো খাবার উপভোগ করতে পারেন। পূর্ব রেলের এই উদ্যোগে দারুন খুশি আমজনতা।