শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: দুঃখের কপালে সুখ সয় না। তারই বাস্তব প্রমাণ মিলেছে এবার। কোম্পানির অর্ডারে সব খোয়ালেন হতভাগ্য বিজেতা। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংবোতে। সেখানে একটি কোম্পানি বছর শেষে একটি পার্টির আয়োজন করে। পার্টিতে ৫০০ টিরও বেশি লটারির (Lottery) টিকিট বিতরণ করা হয়েছিল কর্মীদের মধ্যে। লটারি জিতলেই কোটিপতি ভেবে বাসা কর্মীদের জন্য যে কি অপেক্ষা করছিল তা জানতেনই না তাঁরা।
লটারি জেতার পর গল্পে আসে টুইস্ট। জানা গিয়েছে যে লটারির জন্য গ্র্যান্ড প্রাইজ ছিল ৬০ লক্ষ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭.১৪ কোটি টাকা), যা কর্মীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। যাইহোক, যখন একজন কর্মচারী এই বিশাল পুরস্কার জিতে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর কাছে একটি অস্বাভাবিক অনুরোধ করে বসে কোম্পানিটি। বিজয়ীকে টাকা ফেরত দিতে বলেছিলেন কর্মকর্তারা।
কেন ফেরত চেয়েছিল টাকা?
কোম্পানি এ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করেছিল যে বিজয়ীর জন্য পুরো পুরস্কার বরাদ্দ করার পরিবর্তে, লটারিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে টাকা সমানভাবে ভাগ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত শুনে অনেকেই অবাক, অনেকেই কোম্পানির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ঘটনাটি সম্প্রতি চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন যে মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য এবং লটারির টিকিটের ক্রমহ্রাসমান বিক্রি বাড়ানোর জন্য এমনটা করেছিল কোম্পানিটি।
লটারি নিয়ে আরও একটি অদ্ভুত গল্প
ওহাইওর বাসিন্দা, রজার্স সোর্স, এই লটারি নিয়েই এক আশ্চর্যজনক মোড়ের সম্মুখীন হন। সোর্স ওহাইওর টিফিনের একটি স্থানীয় পিট স্টপে ১-০-৮-২-২ নম্বর দিয়ে একটি পিক ৫ লটারির টিকিট কিনেছিলেন তিনি। অবাক করা বিষয় হল, এই সংখ্যাগুলি তাঁকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিল এবং তিনি প্রায় ৪.১ মিলিয়ন ভারতীয় টাকা জিতেও ছিলেন। এখানেই আসে টুইস্ট। অদ্ভুতভাবে ওই সংখ্যাগুলির মিল ছিল তাঁর মৃত জার্মান শেফার্ডের লাইসেন্স প্লেটের নম্বরের সঙ্গে। টিভিতে বিজয়ী নম্বরগুলি দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। বলেন, ‘আমি স্তম্ভিত। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমি আমার প্রিয় প্রাণীর সঙ্গে সম্পর্কিত সংখ্যার লটারি জিতেছি।’
প্রসঙ্গত, এই ২ লটারি জেতার গল্পই প্রমাণ করে যে জীবন কতটা আশ্চর্যজনক এবং অপ্রত্যাশিত হতে পারে, বিশেষ করে যখন লটারির কথা আসে!