পুকুরে ডুব দিলেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে সব রোগ! কলকাতার কাছেই রয়েছে এই পুকুর, কোথায় জানেন?

নিউজশর্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন অনেক আশ্চর্য জিনিসের খবর সামনে আসছে। আজকে এমনই এক খবরের কথা আপনাদেরকে জানাবো, যা শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবেন আপনিও। পুকুরে ডুব দিলেই রোগা শরীর হয়ে যাবে মোটা, শুধু তাই নয় পুকুরে ডুব দিয়ে নানা রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।

এরকম ঘটনা ‘আশিতে আসিও না’ সিনেমায় ভানু বন্দোপাধ্যায় করেছিলেন। তিনি পুকুরে ডুব দিয়ে বৃদ্ধ থেকে জোয়ান হয়েছেন। তবে আজকের এই পুকুরের খবর কোন সিনেমার গল্প নয়, বাস্তবেই রয়েছে এই আশ্চর্য পুকুর। প্রত্যেক রবিবার হলেই এই পুকুর পাড়ে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে কোথায় রয়েছে এই পুকুর? কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই পুকুর রয়েছে। হাওড়া জেলা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ এই পুকুরে স্নান করতে আসেন।

এই পুকুরে নাকি স্নান করে ইতিমধ্যেই বহু মানুষের রোগ থেকে মুক্তি ঘটেছে বলে বিশ্বাস করেন সাধারণ মানুষেরা। আর এই বিশ্বাস থেকেই প্রত্যেক রবিবার এবং শুক্লা তিথিতে পুকুর ঘাটে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। এছাড়া অন্যান্য সময়েও এই পুকুরের ঘাটে ভিড় থাকে। এই পুকুরের গায়ে মা চণ্ডীর মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরের গা ঘেঁষে রয়েছে পাকুর গাছ। এই শুকনো পাকুর গাছেই তেল হলুদ দিয়ে থাকে ভক্তরা।

তারপরে পুকুরে স্নান করতে নামেন ভক্তরা। এখানে মা চন্ডীকে চাল কুমড়ো বা আস্ত মিষ্টি কুমড়ো এবং বস্তা বস্তা লবণ পুজোর অর্ঘ্য হিসাবে দেওয়া হয়। এখানে কোনো ব্রাহ্মণ বা পুরোহিত থাকেন না, ভক্তরা নিজেরাই মা চণ্ডী কে পুজো দেন। হাওড়া জেলার বাগনান ব্লকের বাঁটুল গ্রামে এই পুকুরটি রয়েছে। বহু মানুষের বিশ্বাস এই পুকুরের উপর রয়েছে। এখানে রোগ মুক্তি ঘটলে নিয়ম মেনে পুজো দিয়ে যায় মায়ের কাছে।

Avatar

Papiya Paul

X