পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ কথায় বলে মানুষ চাইলে কি না পারে। এই কথা বহুবার সত্য প্রমাণ করে অসম্ভবকেও সম্ভব করে দেখিয়েছেন অনেকেই। এই যেমন আজ এক ব্যক্তির সম্পর্কে আপনাদের জানাবো যে কি না গরুর বজ্র পদার্থ বা গোবর দিয়েই একটি দুর্দান্ত ব্যবসা শুরু করেছেন। এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব জিনিস তৈরি করে দূষণ কমাচ্ছেন তেমনি মোটা উপার্জনও করছেন।
গোবর দিয়েই শুরু অভিনব ব্যবসা
বিহারের রোহতাস জেলার বাসিন্দা উপেন্দ্র কুমার সিং গোবর ব্যবহার করেই নানা ধরণের প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরির ব্যবসা শুরু করেছেন। এই দ্রব্যগুলো একেবারে ইকো ফ্রেন্ডলি, আর এতে করে ভালো আয়ও করতে পারছেন তিনি। এখন প্রশ্ন হল করেছেনটা কি? উত্তর হল গোবর দিয়ে একটি স্পেশাল বাতি বা দিয়া তৈরী করছেন যেটা জ্বালানো হয়ে গেলে জমিতে দিলে সেটা উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
মেশিন আর ছাঁচের সাহায্যে এই প্রদীপ তৈরি করেন ফলে এগুলি দেখতেও বেশ সুন্দর তৈরি হয়। অবশ্য শুধুই প্রদীপ নয়, হোম কাণ্ডের জন্য কাঠের টুকরোও তৈরি করেন তিনি। এরমধ্যে কাঠের গুঁড়ো ও গোবর মিশ্রিত থাকে, ফলে খুব কম ধোঁয়া তৈরি হয়। এই কাঠের ৫টি টুকরো একটি প্যাকেটে দিয়ে ৬০ টাকা হ ইসাবে বিক্রি করেন তিনি। এছাড়াও গোবর দিয়েই দেবী দেবতার মূর্তি থেকে শুরু করে ধুপ ও আরও একাধিক জিনিসপত্র বানান তিনি।
ধূপের ক্ষেত্রে কিছু সুগন্ধি তেল মিশ্রিত করে নানা আকারের ধুপ বানানো হয়। এরপর সেগুলিকে যেমন অফলাইনে বিক্রি করা যায় তেমনি অনলাইনেও ভালো বিক্রি হয়। তাছাড়া মানুষের মধ্যে যত সচেতনতা বাড়ছে তত মানুষ অর্গানিক জিনিস কেনার দিকে ঝুঁকছেন। সেক্ষেত্রে গোবরের তৈরি এই প্রোডাক্টের চাহিদা বেশ ভালোই।
আরও পড়ুনঃ ঘাটতি পূরণে উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখছেন আংশিক শিক্ষকেরাই! আদৌ হবে সঠিক মূল্যায়ন? উঠছে প্রশ্ন
কিভাবে মাথায় আসে ব্যবসার আইডিয়া?
উপেন্দ্রবাবুর মতে, দীর্ঘদিন ধরেই দেখতাম লোকে গরুর গোবরকে অপ্রয়োজনীয় বলে ফেলে দেয়। ওঠহাসি সেটার সঠিক ব্যবহার করলে অনেক কিছুই হতে পারে। শুরুতে ইউটিউব থেকেই সবটা শেখেন তিনি, এরপর মধ্যপ্রদেশেই প্রশিক্ষণ নেন কিভাবে গোবর থেকে নানা ধরণের পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্র তৈরি করা যেতে পারে। এরপর নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিজে তো এই কাজ করে ভালো আয় করছেনই সাথে বেশ কিছু মানুষকে কর্মসংস্থানও দিয়েছে।