শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: আজকাল মানুষ অনেকটাই বেশি ভ্রমণপিপাসু। মেঘালয়ে ঘোরার জন্য উন্মুখ। কিন্তু দীর্ঘ দূরত্ব এতে বাধা দেয়। তাই কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করার কথা ভাবছে মেঘালয় সরকার। একটি নতুন রাস্তা তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। এটি তৈরি হয়ে গেলে মেঘালয় ও কলকাতার (Meghalaya to Kolkata) মধ্যে দূরত্ব ৬০০-৭০০ কিলোমিটার কমে যেতে পারে।
বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা জুড়বে মেঘালয়ের সঙ্গে
কলকাতা এবং মেঘালয়ের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রুটের প্রয়োজন হবে। এই ধারণাটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হিসাবে এটি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত হিলি এবং মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত মহেন্দ্রগঞ্জ এই সম্ভাব্য সড়ক সংযোগের মূল বিষয়।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ব্যাখ্যা করেছেন যে বাংলাদেশ হয়ে হিলি এবং মহেন্দ্রগঞ্জকে সংযুক্ত করার জন্য একটি রাস্তা তৈরি করলে ভ্রমণের দূরত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এই রাস্তাটি কলকাতা থেকে মেঘালয়, বরাক উপত্যকা এবং ত্রিপুরায় ভ্রমণকে অনেক দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত করে তুলতে পারে। প্রস্তাবিত রাস্তার রূপরেখা ইতিমধ্যেই হাইওয়ে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রকল্পটি এগিয়ে যেতে পারে কিনা তা দেখার জন্য অনুমোদনের জন্য এটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
পর্যটক এবং স্থানীয়দের কী কী সুবিধা হবে?
এই নতুন রাস্তার অন্যতম প্রধান সুবিধা হল কলকাতা এবং মেঘালয়ের মধ্যে ভ্রমণকারী পর্যটকদের জন্য। বর্তমানে, দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। যদি এই রাস্তাটি নির্মিত হয়, তাহলে পর্যটকরা আরও সুবিধাজনক ভ্রমণ আশা করতে পারবেন, রাস্তায় কম সময় ব্যয় হবে এবং ভ্রমণ খরচও কম হবে। মেঘালয়ের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যেমন তুরা, বাগমারা, ডালু এবং ডাউকি, কলকাতা থেকে পৌঁছানো অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ গরমে উঠবে নাভিশ্বাস, হোলি আগেই নামবে বৃষ্টি! কেমন আপডেট হাওয়া অফিসের
সংক্ষেপে, বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা এবং মেঘালয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই নতুন রাস্তাটি যোগাযোগ উন্নত করতে এবং ভ্রমণ খরচ কমাতে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে। নির্মিত হলে, এটি কেবল দু’ টি অঞ্চলের মধ্যে দূরত্ব কমাবে না বরং সকলের জন্য ভ্রমণকে আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করে তুলবে।