নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অত্যন্ত সফল একজন অভিনেত্রী হলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। যদিও দর্শকরা তাঁকে ‘মিঠাই’ (Mithai) নামেই বেশি চেনেন। দীর্ঘ দিনের অভিনয় জীবনে একাধিক সিরিয়ালে অভিনয় করলেও জি বাংলার মিঠাইয়ের হাত ধরেই বাংলা জোড়া খ্যাতি পেয়েছেন সৌমিতৃষা। এই ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই তিনি সুযোগ পেয়েছেন টলিউড (Tollywood) সুপারস্টার দেবের (Dev) নায়িকা হওয়ার।
‘প্রধান’ (Pradhan) সিনেমায় দেবের বিপরীতে ইতিমধ্যেই অভিনয় করে ফেলেছেন পর্দার মিঠাইরানি। বলতে গেলে সৌমিতৃষা এখন সাফল্যের শিখরে রয়েছেন। মিঠাই সিরিয়ালের দৌলতেই এখন বছরভর ঠাসা কাজ থাকে তাঁর হাতে।একটা সময় মিঠাই টানা ৫৭ বার বেঙ্গল টপার হয়ে রেকর্ড তৈরি করেছিল বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে। তাই সিরিয়ালটি শেষ হয়ে যাওয়ার এতদিন পরেও দর্শকমহলে আজও ফিকে হয়নি মিঠাই ম্যাজিক।
বিশেষ করে প্রধান নায়িকা মিঠাই-এর নামে আজও একাধিক ফ্যান পেজ রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই সিরিয়ালে মিঠাই আর মিঠি দুটি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিতৃষা। আর এই দুটো চরিত্রই ছিল একেবারে ভিন্নধর্মী। একই সাথে এই দুই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সৌমিতৃষা।
তবে বরাবরই শত ব্যস্ততার ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুন সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। সিরিয়ালের সারাক্ষণ তাঁকে শাড়ি-গয়নার সাবেকি সাজেই দেখে এসেছেন দর্শক। কিন্তু বাস্তবে অভিনেত্রী কিন্তু সব ধরনের পোশাকেই সাবলীল। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই নজরে আসে মিঠাই রানীর সেই সমস্ত বোল্ড লুকের ছবি।
আরও পড়ুন: TRP বাড়বে হুড়মুড়িয়ে! মিঠাইয়ের জনপ্রিয় নায়ক এবার ফুলকিতে, উচ্ছসিত দর্শক
সম্প্রতি তেমনি শিলিগুড়িতে পাহাড়ের কোলে বসেই খোলামেলা পোশাকে নিজের একটি সুন্দর ছবি শেয়ার করেছিলেন পর্দার মিঠাইরানি। সুপার হট মিঠাইরানীকে প্রথমবার এমন বোল্ড লুকে দেখে হুঁশ উড়েছে নেটিজেনদের। এদিন অভিনেত্রী একটি সাদা শার্ট পরে আনমনে বাইরের দিকে তাকিয়ে পা ছড়িয়ে বসে থাকার ছবি শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু নিচে কোনো প্যান্ট বা অন্য কোনো পোশাক ছিল তার। মিষ্টি মিঠাইরানির এমন ভোলবদল হজম হয়নি অনেকেরই।
আরও পড়ুন: TRP কমাই উচিত! অনুরাগের ছোঁয়ায় সূর্য-লাবণ্যর ন্যাকামি দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন দর্শক
তাই নিন্দুকরা কেউ ট্রোল করে লিখেছেন ‘প্যান্ট কোথায়? কেন প্যান্ট পরেনি মিঠাই?’ আবার কারও মন্তব্য ‘ টাকা বেড়ে গেলে কি কাপড় কমে যায়? তাহলে এমন টাকার প্রয়োজন নেই।’