মিঠুন চক্রবর্তীর এবারের বাংলা সফরকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বালুরঘাটে গিয়ে পাননি জায়গা, এমনকি সার্কিট হাউসেঐ মেলেনি জায়গা। অবশেষে থাকার জায়গা হয় মালদার একটি হোটেলে। আজ আমরা বলছি এককালীন সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর কথা। সুপারস্টার তো তিনি আগেই ছিলেন, এখন আবার রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছেন।
রাজনৈতিক দুনিয়ার মানুষকে নিয়ে তর্ক বিতর্ক তো চলতেই থাকে। তবে এই মানুষটা যেন অন্য ধাঁচে গড়া। আজকের দিনে যেখানে তারকারা পুজো উদ্বোধনী পারিশ্রমিক নিয়ে দর কষাকষি করে সেখানে এই মানুষটাও একটা সময় প্রতিবছর নিয়ম করে পুজোর উদ্বোধনে যেতেন। ফিতে কাটতেন এবং পারিশ্রমিক হিসেবে যেটা পেতেন সেটা হাতে নিয়ে তুলে দিতেন এন জি ও সংস্থায়।
তবে এখন আর তাকে সেভাবে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়না। এর কারণ হিসেবে নিজেই জানান যে তার শরীর আগের মত শক্ত সমর্থ নেই। আগের মতো দৌড়ঝাঁপ করার ক্ষমতা তার আর নেই। তবে মালদহ সফর থেকে ফিরেই হেস্টিংসে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচন রাজ্যের শাসকদল এবং বিরোধীদল উভয়ের জন্যেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু একুশের নির্বাচনে তারকা প্রচারক হিসেবে তেমন সাফল্য আনতে পারেননি মিঠুন দা। আর এরপরই মাঝের দুটো বছর রাজনীতির ময়দানে একেবারেই সক্রিয় দেখা যায়নি তাকে। তবে এই বছর যেন আবার নতুন জোশে ফিরেছেন মিঠুনদা।
অবশ্য মাঝের দুই বছর গায়েব হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মিঠুন জানান, ‘আমি তো বিজেপির মুখপাত্র নই। ফাইটার হতে গেলে প্রস্তুত থাকতে হবে। আঘাত খাবেন, আঘাত দেবেন। যার শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বেশি শেষ পর্যন্ত তিনিই জিতবেন।’ পাশাপাশি তিনি আরো জানান যে, ন’বার বক্সিং রিং থেকে না আউট খাওয়া মানুষ তিনি। ইন্ডাস্ট্রির পলিটিক্সে নয়বার পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে দশবারের বেলায় যে পাঞ্চটা মারা হয়েছে তাতে আর ওঠেনি।
পাশাপাশি দাদাকে রাজ্যের সাম্প্রতিক আর্থিক ও শিক্ষা কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘হতাশায় ভুগি যে এত টাকা আয় করতে পারলাম না। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বন্ধুরা মাঝে মাঝে মজা করে। দোষ না করলে ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তে ভয় কীসের?’