‘মিঠুন চক্রবর্তী’ পরিচিতির জন্য এই নামটুকুই যথেষ্ট। ফুটপাত থেকে জীবন শুরু করে বলিউডের মসনদে বসেছিলেন তিনি। অভিনেতা, প্রযোজক, সমাজসেবী, টেলিভিশনে রিয়ালিটি শোয়ের জাজ, ব্যবসায়ী এমনকী রাজনীতিতেও তিনি সক্রিয়। অভিনয় জগতে যেমন সুনাম কুড়িয়েছেন তেমনই গসিপও কম নেই তাকে নিয়ে। এমনকি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি নাকি গোপনে আরো একটা বিয়েও করেছিলেন। এই ঘটনা জানার পরই নাকি আত্মহননের কথা ভেবেছিলেন স্ত্রী যোগিতা বালি।
অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে তা বড়োই বিতর্কিত। একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বি টাউনের চাঁদনি। একটা সময় তাদের প্রেমের খবরে মুখর হয়ে থাকতো মিডিয়া চ্যানেলগুলি। এমনকি এটাও শোনা যায় যে, তিনি নাকি গোপনে শ্রীদেবীর সাথে বিয়েও সেরে ফেলেছিলেন। যদিও এই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি।
১৯৭৯ সালে সারিকার সাথে সম্পর্কে জড়ান মিঠুন। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সেই সম্পর্কেও ফাটল ধরে এবং ভেঙে যায়। এরপরই হেলেনাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় অভিনেতা। সত্তরের দশকে ফ্যাশন দুনিয়ায় বিশ্বজোড়া নাম ছিল হেলেনা লিউক। একটি সাক্ষাৎকারে হেলেনা জানান, মিঠুন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাকে বিয়ের জন্য রাজি করেছিলেন। তবে তাদের বিবাহিত জীবন মাত্র ৪ মাস চলেছিল। এরপর সেই বছরই যোগিতা বালিকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা।
যদি মিডিয়ার কথা বিশ্বাস করা হয় তাহলে একের পর এক সম্পর্ক ভাঙা থেকে বারংবার সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিঠুনের। ঘনিষ্ঠ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এইসব বিষয় নিয়ে নাকি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন যোগিতা। বিশেষ করে শ্রীদেবীর সঙ্গে রটে যাওয়া গুজব নিয়ে একটু বেশিই সজাগ থাকতেন মিঠুন পত্নী।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এরপরই যখন শ্রীদেবীর সঙ্গে মিঠুনের বিয়ের গুঞ্জন ওঠে তখন যোগিতা মিঠুনকে হুমকি দিয়েছিলেন, যে তিনি যদি শ্রী-এর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। যদিও যোগিতা পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল, ‘ওর দ্বিতীয় স্ত্রীকেও আমি মেনে নেব’।
শোনা যায়, শ্রীদেবী নাকি যোগিতা আর মিঠুনের বিয়ের সম্পর্কে কিছুই জানতেননা। পরে নাকি এই কথা জানতে পেরেই সরে আসেন। যদিও এই কথাটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়না। এরপর সাল ১৯৮৮ এর দিকে নিজেদের সম্পর্কে ইতি টানেন এই দুই কিংবদন্তি। তবে শ্রীদেবী ছেড়ে চলে গেলে যোগিতার কাছেই ফিরে আসেন তিনি। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়।