জি বাংলার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক (Bengali Serial) হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। সিরিয়ালটির গল্প (Story) বেশ ভালোই পছন্দ করছে মানুষ। আসলে এই ধরণের একান্নবর্তী পরিবারের (Joint Family) গল্প খুব একটা দেখা যায়না। এই ধারাবাহিক শুরুই হয়েছিল খাঁটি বাঙালীয়ানাকে (Bengaliana) সঙ্গী করে।
সিরিয়ালের শুরুতেই দেখেছিলেন দেখাশোনা করে বিয়ে হচ্ছে পর্ণা এবং সৃজনের। একদিকে যেখানে পর্ণা দুচোখে হাজারটা স্বপ্ন নিয়ে দত্তবাড়িতে পা রাখে, সেখানে দত্তবাড়ির লোকজন তার পায়ে শিকল পরাতে ব্যস্ত। এসবের পাশাপাশি এমন বেশকিছু প্লট এমন দেখানো হয় যা দেখে সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে দর্শকরা।
গল্পে সৃজনের মা অর্থাৎ কৃষ্ণাদেবী হলেন ছেলে অন্ত প্রাণ। যিনি বৌমাকে তার ছেলের কাছাকাছি দেখলেই, গোপনে ষড়যন্ত্র করে। বউমাকে তাড়াতে উদ্যত হয়। এই যেমন, সাম্প্রতিক এপিসোডে দেখানো হয়েছে, পর্ণার কোমরে চোট লাগায় সৃজন তা মালিশ করে দিচ্ছে। আর সেই সব দেখে কৃষ্ণার তো মাথায় হাত।
আড়াল থেকে এই দৃশ্য দেখে কৃষ্ণা কাঁদতে কাঁদতে বলে , ‘আমার বাবুটাকে একদম কেড়ে নিল। এরপর তো বাবুকে গিলে খাবে’। তারপরেই কৃষ্ণা ভাবতে থাকে, তার বাবু আর বাবুর বউ দুজনে মিলে তাকে বাড়ি থেকে বাইরে বের করে দিচ্ছে। অর্থাৎ তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
এরপর ভাবনা থেকে বেরিয়ে যখন বাস্তবে ফেরে তখন পর্ণাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটে সে। শিবরাত্রির দিনে পর্ণাকে সৃজনের থেকে আলাদা করার জন্য মৌমিতাকে ফেক সন্ন্যাসিনী সাজায় সে। পর্নাকে ভয় দেখানোর কোনো কসুরই ছাড়েনি সে। যদিও এইসব ফাঁদে পা দেওয়ার মানুষ আর যেই হোক, পর্ণা দত্ত নয়।
তবে এই এপিসোড দেখার পর থেকেই সমালোচনায় মত্ত হয়ে উঠেছে নেটপাড়া। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এতই যখন বাবুকে নিজের কাছে রাখার ইচ্ছা বিয়ে কেনো দিল। পারতো সোনার টুকরা ছেলেকে নিজের আঁচলে বেঁধে রেখে দিতে এই রকম শাশুড়ী পেলে জীবন শেষ’। জনৈক কটাক্ষ, ‘শাশুড়ি না সতীন কিছুই যে বুঝতে পারছি না।’