পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ প্রতিনিয়োগ প্রযুক্তির উন্নতির সাথে বদলাচ্ছে সিস্টেম, এই নিয়মের অন্যথা হয়নি এয়ারপোর্টের ক্ষেত্রেও। তবে আজ বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে চেকিংয়ের জন্য অনেকটাই সময় লাগে। যদিও আগামী দিনে হয়তো আর চেকিং, বোর্ডিং পাস থেকে পাস পোর্ট ভেরিফিকেশনের এয়ারপোর্টের নিয়মের (Airline Rules) ঝামেলা থাকবে না। এমনই টেকনোলজি আনতে চলেছে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন বা ICAO।
অত্যাধুনিক হচ্ছে এয়ারপোর্টের চেকিং | Digital Travel Credential
আসলে গোটা বিশ্বে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি যাত্রীদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানের জন্য নতুন প্রযুক্তি চালু করতে চাইছে। নয়া এই ডিজিটাল ট্রাভেল ক্রেডেনশিয়াল টেকনোলজির মাধ্যমে মুখের স্ক্যান আর ফোনের ডিজিটাল আইডি দিয়েই সমস্ত চেকিং হয়ে যাবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই। হ্যাঁ একেবারেই ঠিক দেখছেন, পাসপোর্ট বা বোর্ডিং পাস কোনোটাই আলাদা করে দেখতে হবে না।
আশা করা হচ্ছে আর ২-৩ বছরের মধ্যেই এই পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। যার ফলে বিমানযাত্রার জন্য আর আলাদা করে ২ ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে হবে না। টিকিট বুক করে যাত্রার কিছুক্ষণ আগে পৌঁছে গেলেই হবে, একটি জার্নি পাস দেওয়া হবে তাতেই সমস্ত প্রয়োজন মিটে যাবে। এটাই বিগত ৫০ বছরের সবচেয়ে বড় এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন হতে চলেছে।
কি কি সুবিধা হবে যাত্রীদের?
নতুন নিয়ম চালু হলে সবচেয়ে বেশি যেটা সুবিধা হবে সেটা হল সময় বাঁচবে। কারণ পাসপোর্ট দেখানো আর বোর্ডিং পাস নেওয়ার জন্য বারবার লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। পরিবর্তে এয়ারপোর্ট থাকা মেশিনের মুখের স্ক্যান করলেই আপনার যাত্রার যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। এমনকি হ্যান্ড লাগেজ থাকলে সেটাও চেকিং হয়ে যাবে। এছাড়া চেক-ইন লাগেজ থাকলে সেটার জন্যও একবার স্ক্যান করলেই হবে।
আরও পড়ুনঃ পয়লা বৈশাখের পরেই বদলাচ্ছে তৎকালে টিকিটের টাইমিং! বিজ্ঞপ্তি জারি IRCTC-র
আসলে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে কাজ হয় তাতে চেকিংয়ের জন্য অনেকটাই সময় যায়। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা অনেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে পছন্দও করেন না। তাই একদিকে যেমন যাত্রী স্বচ্ছন্দ বাড়বে তেমনি সময় কম লাগার কারণে এয়ারপোর্টের মোট অপারেটিংয় ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়ানো যাবে। ফলে যাত্রী, এয়ারলাইন সংস্থা ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সকলেই লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।