নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে একজন মানুষের পক্ষে চাকরি করে গোটা সংসার চালানো সম্ভব হয় না। দিন যত যাচ্ছে ততই জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। নিজের খরচের সঙ্গে একটা সংসার খরচ চালানো দুষ্কর হয়ে ওঠে। তাই পরিবারের চাকুরিজীবী প্রার্থীরা চাকরির পাশাপাশি অন্য উপার্জনের পথ খুঁজছেন। উপার্জন বলতে এখন সকলেই বাড়িতে বসে ছোটখাটো ব্যবসা(Business) শুরু করার কথা ভাবছেন।
ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবলেই তো হলো না। ব্যবসা করার আগে আপনাকে ভালোভাবে সেই ব্যবসার চাহিদা কতটা, বিক্রি করলে কতটা লাভ হবে সমস্ত কিছুই বিচার বিশ্লেষণ করে নিতে হবে। হুট করে ব্যবসায় নেমে গেলেই হল না, এতে লাভের বদলে লোকসান হবার সম্ভাবনা থাকে। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসার(Business Idea) খোঁজ দেওয়া হল।
এখন বোতলজাত পানীয় জলের চাহিদা বেড়েছে প্রচুর। এই জলের ব্যবসা করে আপনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই এখন কল থেকে জল নিয়ে পান করেন না, শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পরিশোধিত পানীয় জল পান করে থাকেন। করোনা পরবর্তীকালে এই পরিশোধিত পানীয় জলের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনিও এই ধরনের ব্যবসা করে নিজের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে পানীয় জলের ব্যবসা করলে বেশ কিছু জিনিস আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু আপনি পানীয় জলের ব্যবসা শুরু করবেন তাই একাধিক লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। আপনার কোম্পানির সঠিক একটি রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তার সাথে কোম্পানির প্যান নম্বর এবং জিএসটি নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরি করতে হবে। এই জলের ব্যবসা করতে হলে আপনার একটু বিস্তর জায়গার প্রয়োজন হবে। প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন হবে।
সেখানে আপনি RO মেশিন, চিলার সহ জলের উৎস এবং একটি ট্রাঙ্ক ও গোডাউন তৈরি করে রাখতে হবে। এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে একটু বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয়। বাড়িতে যদি জায়গা থাকে তাহলে খরচ কিছুটা কম হবে। আপনাকে বাড়ি ভাড়া বাবদ বেশি টাকা দিতে হবে। এই ধরনের ব্যবসায় লাইসেন্স করাতে আপনার খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন জিনিসপত্র এবং জলের প্ল্যান্ট স্থাপন করতে আরও ৫ লাখ টাকা মত লাগবে। এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন আপনি ২০ লিটারের ১৫০ টি জলের জার বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।