টেলিভিশন পোকা বাঙালির নিত্যদিনের টনিক হচ্ছে বাংলা ধারাবাহিক। দিনশেষে নিখাদ বিনোদনের খোঁজে আট থেকে আশি সকলেই বসে পড়ে টেলিভিশনের সামনে। আর দর্শক টানতে নির্মাতারাও নিত্যনতুন টুইস্ট নিয়ে হাজির হয় পর্দায়। এমনিই এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘মিঠাই’। জি বাংলায় সম্প্রচারিত এই ধারাবাহিকটি পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কমই আছে এই বাঙলায়। সম্প্রতি বেশ মজার ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছে ধারাবাহিকটি।
মেম ঠাম্মাকে নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছে সবাই। কোনো উপায় না পেয়ে শেষমেষ তার মেয়েরই শরণাপন্ন হতে হয়েছে সবাইকে। একদিকে যেখানে সিদ্ধেশ্বর-সুষমার মান অভিমানের পালা চলছে অপরদিকে বাকিরা তখন তাদের ফুলশয্যার আয়োজন করছে। এমতাবস্থায় তাদের কাছাকাছি কীভাবে আনা যায় তাই ভেবে পাচ্ছেনা কেউ। আর সেকারণেই সবাই দ্বারস্থ হয়েছে অনুরাধার। যদিও অনুরাধাও এই বিষয়ে খুব ভালোভাবেই অবগত যে, সিদ্ধেশ্বর-সুষমার এই দাম্পত্য কলহের নেপথ্যে রয়েছে তারই মা ললিতা। আর সেই কারণেই মিঠাইয়ের কথামতো প্ল্যান সফল করার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে সে।
এরপরই বিস্তর ভাবনা-চিন্তার পর একটি কৃষ্ণমূর্তি হাতে নিয়ে অনুরাধা পৌঁছায় সুষমার কাছে। সুষমার হাতে মূর্তি দিয়ে বলে এটি তার জন্য সিদ্ধেশ্বর পাঠিয়েছে। স্বামী উপহার পাঠিয়েছে দেখে তো সুষমাও আহ্লাদে আটখানা হয়ে পড়ে। সেই সময় কোথায় রাগ আর কোথায় বা অভিমান। যদিও আসলে এই সবই মিঠাইয়ের প্ল্যান। এর মাঝে তোর্সা একটু নাক গলাতে হলেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি।
সুষমাকে তো ম্যানেজ করা গেছে কিন্তু কর্তাকে কী বলা হবে। যাইহোক বাড়ির ছেলেরা ততক্ষণে ফুলশজ্জার খাট সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও এসবের বিন্দুবিসর্গও জানেনা সিদ্ধেশ্বর। এরপর বিস্তর রাগারাগির পর নাতিদের কথা মেনে নেয় সে। এরপরেও কর্তা-গিন্নির মান অভিমান মেটে কি না তা তো পরের এপিসোডই বলবে।