পর্যটকদের জন্য সুখবর, মাইথনে তৈরি হচ্ছে ‘ফ্লোটিং হোটেল’, মিলবে কী কী সুবিধা?

New Floating Hoel will be built in Maithon

পর্যটকদের জন্য সুখবর, মাইথনে তৈরি হচ্ছে ‘ফ্লোটিং হোটেল’, মিলবে কী কী সুবিধা?

Partha Sarathi Manna

Published on:

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সবাই ব্যস্ত এই জীবন থেকে ক্ষনিকের মুক্তি পেতে চাইলে ভ্রমণ হল শ্রেষ্ঠ ঔষুধ। কারোর পছন্দ পাহাড় তো কারো পছন্দ সমুদ্র, আবার অনেকেই অফ স্পিড বা নিত্য নতুন জায়গায় ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন। এবার সমস্ত ধরনের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে এক নতুন আকর্ষণ। মাইথনে ভাসমান হোটেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল ডিভিসি।

মাইথনে তৈরি হবে ফ্লোটিং হোটেল

আসলে সপ্তাহান্তে একদিনের ছুটিতে অনেকেই মাইথন ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। ১৯৫৭ সালে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সীমানদের এই জায়গায় তৈরী করা জলাধার দেখার জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় জমে রবিবার ও ছুটির দিনগুলিতে। তবে পর্যটকদের জন্য থাকা খাওয়ার অল্প কিছু ব্যবস্থা থাকলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। কারণ ‘মজুমদার নিবাস’ ও গুটিকতক হোটেল আর রিসোর্ট থালেও আগে থেকে বুকিং না করলে সেখানে ঘর পাওয়া মুশকিল। তাই এবার ভাসমান হোটেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পর্যটকদের থাকার জন্য জায়গা বাড়বে তেমনি আরও একটি টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন তৈরি হবে।

ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে টেন্ডার

ফ্লোটিং হোটেল তৈরির জনু ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। মাইথন জলাধারের মধ্যেই একটি বিলাসবহুল হোটেল ও সাথে রেস্তোরা বানানো হবে বলা জানিয়েছেন ডিভিসি এর জনসংযোগ আধিকারিক। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই টেন্ডার ফাইনাল করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কি কি থাকবে হোটেলে?

ফ্লোটিং এই হোটেলে কি কি থাকবে এটা জানার জন্য এখন থেকেই বেশ উৎসাহী সাধারণ মানুষ তথা পর্যটকেরা। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, হোটেলটিতে ১০টি ঘর বানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। যেখান থেকে ড্যামের সামনে নীল পাহাড় থেকে সবুজ রঙের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর রোমাঞ্চকর সূর্যাস্ত দেখা যাবে। একইসাথে একটি রেস্তোরায় বানানো হবে। যেখানে পর্যটকেরা খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে মজুমদার নিবাসের কাছাকাছি জায়গাতেই এই ভাসমান হোটেল বানানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ OBC সার্ফিটিকেট মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষা, ৩ লক্ষ চাকরি দেবে সরকার! ঘোষণা মমতার

কিভাবে তৈরি হবে ভাসমান হোটেল?

যেমনটা জানা হচ্ছে পিপিপি মডেলে বানানো হবে ভাসমান হোটেলটি। অর্থাৎ হোটেলের নকশা, খরচ ও পরিচালনার জন্য প্রাইভেট কোম্পানির তরফ থেকে এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট চাওয়া হয়েছে। যে আবেদন জমা পড়বে তার থেকেই কোনো একটিকে বেছে নেওয়া হবে। শুরুতে ৩০ বছরের জন্য হোটেল চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে। এর ফলে একদিকে যেমন পর্যটন বাড়বে তেমনি রাজ্যের কোষাগারেও কিছু অর্থ জমা পড়বে।

সঙ্গে থাকুন ➥