শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলার মানুষের জন্য সুখবর। দামোদর নদীর উপর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেতু নির্মাণ করা হতে চলেছে। এবং এর নকশা ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এই নতুন সেতুটি পুরাতন কৃষক সেতুর পাশে নির্মিত হবে, যা প্রায় ৫০ বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং স্বাভাবিকভাবেই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমান সেতুটির অবনতির কারণে, এটি আর যানবাহনের চাপ সামলাতে পারে না। নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেতুটি পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে সামলে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন সেতুটি ৬৪০ মিটার লম্বা এবং চার লেনের হবে, যা এটিকে ভারী যানবাহনের জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। এর নির্মাণের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা। সেতুর নকশা, যা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রাতের বেলায় আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সাজসজ্জার আলোর পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুরাতন কৃষক সেতুটি ৪৬ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এবং তখন থেকে বর্ধমান শহর উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। দুই লেনের কৃষক সেতু নির্মাণের পরে জিটি রোডকে চার লেনের হাইওয়েতে প্রশস্ত করা হয়েছিল। তবে, মেরামতের জন্য সেতুটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে স্থানীয় ব্যবসা এবং পরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নতুন সেতু কোন কোন জেলাকে কীভাবে সাহায্য করবে?
কাজ সম্পন্ন হলে, সেতুটি সাতটি জেলার মানুষের উপকার হবে: হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। বর্তমানে, কৃষক সেতু, যা এই অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করে, ক্রমবর্ধমান যানজটের সাথে লড়াই করছে এবং এমনকি মেরামতের জন্য আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিবহন সমস্যা দেখা দিয়েছে। নতুন সেতুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ প্রদান করবে এবং যোগাযোগ উন্নত করবে, যার ফলে এই জেলাগুলির মধ্যে মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় দেড় বছর আগে প্রথম নতুন সেতুটি নির্মাণের ঘোষণা করেছিলেন এবং এর নামকরণ করেছিলেন “ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেতু”। কাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে নির্মাণ শুরু হবে। নতুন সেতুটি কেবল পরিবহনের উন্নতিই করবে না বরং এই অঞ্চলে ব্যবসায়িক কার্যক্রমও বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।