Papiya Paul

অসাধারণ ভাস্কর্য আর ইতিহাসের মেলবন্ধন, একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন বাংলার এই ঐতিহাসিক জায়গা থেকে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। আর এবার অপেক্ষা রয়েছে কালীপুজোর। তবে দুর্গাপূজো কিংবা কালীপুজোর জন্য অপেক্ষা নয়। বহু মানুষ রয়েছে যারা প্রায় সারা বছর ধরেই এদিক সেদিক ঘুরতে(Travel) বেরিয়ে পড়েন। চেনা জায়গার পাশাপাশি কিছু অচেনা জায়গায় সন্ধান করে থাকেন তারা। তাই দীঘা-পুরী- দার্জিলিং ছাড়াও এমন অনেক অজানা লোকেশনের(Offbeat Location) খোঁজ করে থাকেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।

   

আজকের এই প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) এমনই এক অচেনা জায়গার সন্ধান নিয়ে চলে এসেছি আমরা। যেখানে গেলে আপনি ইতিহাসের নিদর্শন খুঁজে পাবেন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যেও যদি দুই একদিনের ছুটিতে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল অধ্যুষিত ব্লক কেশিয়াড়ি থেকে।

এখানে রয়েছে ইতিহাসের অন্যতম নিদর্শন কুরুম্বেরা দুর্গ। কেশিয়াড়িতে একটি গ্রাম রয়েছে যার নাম গগনেশ্বর। সেখানেই একটি জায়গা রয়েছে যেটি কুরুম্বেরা দুর্গ নামে পরিচিত। এখানের চারিপাশ বিরাট প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি মাত্র পথ। এখানে প্রবেশ করলে আপনি দেখতে পারবেন তিনটি বড় বড় গম্বুজ। এর বাইরে কোন কারুকার্য না থাকলেও ভেতরের দালান, কারুকার্য মন্দির দেওয়াল সবকিছুই পাথর দিয়ে তৈরি।

এই দুর্গের ভেতরে একটি গগনেশ্বর নামের শিব মন্দির ছিল। তার পাশাপাশি বিরাট গভীর একটা কুয়ো ছিল। ওড়িশার রাজা কপিলেশ্বর দেবের আমলে ১০ ফুট উঁচু দেওয়াল তিন ফুট প্রস্তর বিশিষ্ট এবং ভেতরে ৮ ফুট প্রশস্ত খিলানযুক্ত চারিদিক বেষ্টিত এই দুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল। নিজেদের রাজ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে আপনি অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। বহু মানুষ এখনো এই জায়গার খোঁজ পাননি তাই ভিড় নেই বললেই চলে। খড়গপুর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই ঐতিহাসিক জায়গা। নিজের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে একদিনের জন্য অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে।