নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে মোবাইল ছাড়া অচল সবাই। আর এই মুঠো ফোন চালু রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন একটি সিম কার্ডের। বহুদিন ধরে আমাদের দেশে এই সিম কার্ড (Sim Card) কে ঘিরে বেড়ে চলেছে বিভিন্ন জালিয়াতি চক্র। তাই এই সমস্ত সিম কার্ডের কারণে বাড়তে থাকা প্রতারণা কড়া হাতে দমন করতেই এবার সিমকার্ড নিয়ে এক নতুন নিয়ম চালু করেছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ।
তাই যারা সিম কার্ড ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করছেন তাদের এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তা না হলে পয়লা ডিসেম্বরের পর থেকেই বড়সড়ো বিপদের মুখে পড়বেন তারা। সরকারি এই নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য জরিমানা সহ জেল পর্যন্ত হতে পারে। তাই বোঝাই যাচ্ছে জালিয়াতি রুখতে এখন আরও কড়া কেন্দ্রীয় সরকার।
এরই মধ্যে নতুন সিম কার্ড নিয়ে এসে গেল বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম। যা না জানলে আগামীদিনে বিপদ বাড়বে গ্রাহকদেরই।যদিও অনেক আগেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা ভেবে অতিরিক্ত আরও ২ মাস সময় দেয় সরকার।
তাই এবার হাতে আর বেশিদিন সময় নেই! ১ ডিসেম্বর থেকেই চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যবহারকারী এবার থেকে আর একসঙ্গে একাধিক সিম কার্ড ইস্যু করতে পারবেন না। শুধু তাই নয় একটি আইডিতে সীমিত সংখ্যক সিম কার্ডই ইস্যু করা যাবে।
আরও পড়ুন: SBI থেকে BOB, কম সুদে গাড়ি-বাড়ি কেনার দুর্দান্ত অফার দিচ্ছে এই ৩ টি ব্যাঙ্ক!
তাই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত সিম বিক্রেতা অর্থাৎ পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক। তবে কেউ যদি এই সমস্ত নিয়ম না মানেন তাহলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকি জেলেও যেতে হতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সিম কার্ড বিক্রেতাদের সিম যাঁরা ক্রয় করছেন তাঁদের সঠিক KYC করতে হবে।
সূত্রের খবর, এতদিন ধরে অনেক সিম কার্ড বিক্রেতা সঠিক ভেরিফিকেশন ছাড়াই নতুন সিম কার্ড ইস্যু করতেন। যার নেপথ্যে ছিল জালিয়াতি। তাই সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এরপর কেউ যদি জাল সিমকার্ড বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় তাহলে সিম বিক্রেতাকে তিন বছরের জন্য জেলে যেতে হবে। এছাড়াও, তাঁর লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। বর্তমানে ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ সিম কার্ড বিক্রেতা রয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কোম্পানি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ব্ল্যাকে সিম কার্ড ইস্যু করেন।