নিউজশর্ট ডেস্কঃ দুর্গাপূজা শেষ তবে এখনও রেশ কাটেনি উৎসবের মরশুমের। মানুষ এখনও মগ্ন উৎসবের আনন্দে। অনেকেই এই উৎসবের মরশুমে একটু ঘুরতে যেতে চান শহর থেকে দূরে, নিরিবিলি স্থানে। একটু মুক্তি পেতে যান এই কংক্রিটের জঙ্গলের থেকে। রোজের ব্যস্ততা ভরা জীবনে একটু সতেজ বাতাসের খোঁজেই তাদের এই ভ্রমণ(Travel)।
তবে অনেকেরই ধারণা থাকে এহেন ভ্রমণ করতে যথেষ্ট পরিমাণে টাকা ও সময় লাগে। তবে এ কথা পুরো সত্যি নয়। কথায়, আছে খুঁজলে সব মেলে, আর আজ তেমনই এক স্থানের সন্ধান দেব আপনাদের। কম সময় আর কম খরচে অ্যাডভেঞ্চারাস ট্রিপ করতে চাইলে এই স্থান হবে আপনাদের অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন(Destination)। আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিই এই স্থান সম্পর্কে।
এই জায়গাটির নাম হল সিপাইধুরা চা-বাগানের ভোটে বস্তির ইকোপালস ক্যাম্প। হ্যাঁ আমাদের সকলের পরিচিত শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৪৪ কিমি দূরে অবস্থিত এই অঞ্চল সত্যি এল দর্শনীয় স্থান। বিশেষত জঙ্গল যাঁদের প্রিয়, অ্যাডভেঞ্চার যাদের রক্তে, তাঁদের এই জায়গাটা পছন্দ হতে বাধ্য! চারিদিকে কোলাহল বিহীন পাহাড়ি জঙ্গল আর তার মাঝেই ছোট-ছোট ট্রি হাউজ। গাছের ওপর সেই সেই ট্রি হাউসে রাত কাটানো এক আলাদাই অনুভূতি।এর সঙ্গে থাকবে উচ্চমানের নেপালি অথেন্টিক খাবার, বন ফায়ারের ব্যবস্থাও। এবারে আসুন জেনে নিই কি উপায়ে এই স্থানে পৌঁছবেন।
কিভাবে যাবেন? প্রথমে কার্শিয়াং-এর মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত এই সিপাইধুরা চা বাগানে যেতে হবে আপানকে। এরপর এই স্থানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবেন ভোটে বস্তি। সামান্য ট্রেক করলেই ট্রি হাউসগুলো চোখে পড়বে। বাইকার-দের অন্যতম পছন্দের স্থান এই ইকোপালস ক্যাম্প। অথবা যদি শেয়ার গাড়ি করে আসতে চান তাহলে শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন থেকে সোনাডার গাড়ি ধরে আপনাকে প্রথমে সিপাইধুরা নামতে হবে। এরপর সেখান থেকে মিনিট ১৫ ট্রেক করলেই পেয়ে যাবেন ইকোপালস ক্যাম্পিং সাইট।
খরচ:- এখানে প্রতিদিন থাকা খাওয়া বাবদ খরচ মাত্র ১৩০০ টাকা। এর মধ্যে আপনি পাবেন নেপালি অথেন্টিক খাবার, যা পরিবেশন করা হবে কলাপাতায়। এছাড়া রাতে থাকবে বিদেশ বন ফায়ারের ব্যবস্থা। এই প্রসঙ্গে ইকোপালসের কর্তার বক্তব্য ” আমাদের এই জায়গাটি কার্শিয়াং এর মূল শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। এখানে থাকা খাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থাই রয়েছে। মূলত বাইকাররা আমাদের এখানে বেশি আসে। পুজোর মরশুমে ইতিমধ্যেই অনেক বুকিং রয়েছে। আমাদের সিজন শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি এই বছর ব্যাপক ফুটফল হবে।”