ভ্রমণ,চুপির চর,বর্ধমান,পাখি,Travel,Chupir Char,Burdwan,Birds,Picnic,পিকনিক,পাখিপ্রেমী,Ornithologist

Moumita

শীতের রোদ্দুরে অচেনা পাখিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে চান? ঘুরে আসুন কলকাতার কাছেই এই জায়গা থেকে, মন ভালো হবে আপনার

   

শীতকালে রোদ্দুর গায়ে মেখে অচেনা পাখিদের আলাপচারিতা করতে চাইলে অবশ্যই চলে আসুন চুপির চরে। নাম শুনে হয়তো একটু অদ্ভুত লাগছে। হয়তো ভাবছেন যে, এরকমও কোনো জায়গা আছে নাকি? কিন্তু বলে রাখি, কলকাতা থেকে মাত্র ১২১ কিলোমিটার দূরে পূর্বস্থলীতে অবস্থিত এই চুপির চর (Chupir Char)।

দেশ বিদেশের নানান পাখির ভিড়, এবং তারসাথে হালকা করে বনভোজন, সবই করতে পারবেন এখানে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও চোরা শিকারিদের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এখানকার মানুষজন। এরপর সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় চোরাশিকারীদের দাপট কমেছে অনেকটাই‌।

বলে রাখি এই জায়গাটি মূলত একটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ। ফলে শীত বাড়তেই মঙ্গোলিয়া, ইউরোপ এমনকি হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এখানে ভিড় জমাতে শুরু করে পাখির দল। পাশাপাশি এখানকার খরচও অনেক কম। এমনকি কলকাতা থেকে সামনে হওয়ায় ক্লান্তিও হবেনা বললেই চলে।

কলকাতা থেকে যদি ট্রেনে আপনি রওনা হন তাহলে বর্ধমানের এই চুপির চরে পৌঁছতে আপনার সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। পূর্বস্থলী স্টেশনে নেমে সেখান থেকে পেয়ে যাবেন টোটো। মাত্র ২০ টাকা দিলেই পৌঁছে যাবেন চুপির চরে। এখানে দেখার মধ্যে রয়েছে, অসপ্রে, রুডিরুডি, রিভার ল্যাপ, রেড ক্রিসটেড প্রভৃতি পাখি।

পাখি দেখার খরচাও যৎসামান্যই। চুপির চরে (Chupir Char) গিয়ে পাবেন নৌকা। ১৫০-২০০ টাকার মত নৌকা ভাড়া নেয় এখানে। নৌকা ভাড়া করে চলে যান চুপির চরের একটি অংশে। স্থানীয়দের ভাষায় এই জায়গাটিকে বলা হয় বাংলার আমাজন। যাইহোক, এবার বলে দিই এখানে গিয়ে থাকবেন কোথায়!

এখানে থাকার জন্য রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সরকারি আবাস এবং কিছু বেসরকারি আবাসন। এমনকি অবিবাহিত দম্পত্তিদের জন্যেও রয়েছে কিছু পান্থনিবাস। পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ার জন্যেও একাধিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে এখানে। তাই হাতে সময় থাকলে আজই বেরিয়ে পড়ুন দিন কয়েকের জন্য।