পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ গোটা বাংলা জুড়ে মাঝে মধ্যেই শোনা যায় নিত্য নতুন সৌন্দর্য্যায়ন প্রকল্প চলে। তবে এবার যান যাচ্ছে, হুগলি নদীর তীর বরাবর চুঁচুড়া ফেরি সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠতে চলেছে এক অভিনব জলপর্যটন প্রকল্প (Water Tourism Project)। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন উদ্যোগে চুঁচুড়ার চেহারা বদলে যেতে চলেছে। শুধু চুঁচুড়া নয়, জেলার আরও দুটি জায়গায় এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস, কারণ কর্মসংস্থানের বড় সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
হুগলি নদীর তীরে জলপর্যটন প্রকল্প | New Water Tourism Project in Chinsurah
সরকারি এই প্রকল্পের আওতায় নদীতীরবর্তী ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে বানানো হবে একাধিক আধুনিক রেস্তরাঁ, পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার ও নানা ধরনের পণ্যসামগ্রীর বিপণন কেন্দ্র। এই নতুন প্রকল্প পর্যটকদের জন্য যেমন আকর্ষণীয় হবে, তেমনই স্থানীয়দের জন্যও নতুন জীবিকার সুযোগ এনে দেবে। ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকাটির সৌন্দর্যায়নের জন্য বসানো হবে প্রচুর গাছ, তৈরি হবে সাজানো হাঁটার পথ, বসার বেঞ্চ ও আলোকসজ্জা। এখানে নদীর পাড়ে বসেই উপভোগ করা যাবে হুগলির মনোরম দৃশ্য।
চুঁচুড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে হুগলি নদীর তীরে একটি আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশ গড়ে উঠবে, যা সাধারণ মানুষের বিনোদনের পাশাপাশি প্রচুর মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুযোগও তৈরি করবে। এছাড়া শহরের বাইরে থেকেও যাতে বহু মানুষ এখানে আসেন, তার জন্যও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ।
হবে প্রচুর কর্মসংস্থান
এই প্রকল্প চালু হলে চুঁচুড়া শহর ও আশপাশের এলাকার বহু মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলেই জানানো হচ্ছে। রেস্তরাঁ, বিপণন কেন্দ্র, পর্যটন পরিষেবা, নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ এর মত নানা ধরনের কাজের সুযোগ মিলবে স্থানীয়দের জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের প্রকল্প শহরের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদা স্টেশনে নয়া নিয়ম! এবার থেকে এই ভুল করলেই শ্রীঘর নিশ্চিত
তাছাড়া নদীর পাড়ের সৌন্দর্যায়ন ও আধুনিকীকরণের ফলে চুঁচুড়া নতুন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি হবে। এর ফলে যেমন বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা, তেমনই শহরের মানুষের জন্যও তৈরি হবে এক নতুন সময় কাটানোর ঠিকানা। এই প্রকল্পের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।