পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ইন্ডিয়ান আইডলের প্রি-ফিনালে রাউন্ট হয়ে গিয়েছে। সেখানে সেরা ৬ জন প্রতিযোগীকে পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে। তবে কোনো এলিমিনেশন হয়নি, অর্থাৎ গ্রান্ড ফিনালের দিনেও ৬ জনকেই লড়তে দেখা যাবে সুরের মহাযুদ্ধে।
ইন্ডিয়ান আইডলের ৬ ফাইনালিস্ট
- স্নেহা শঙ্কর
- মানসী ঘোষ
- অনিরুদ্ধ সুস্বরম
- চৌতন্য মৌলি
- শুভজিৎ চক্রবর্তী
- প্রিয়াংশু দত্ত
কবে ইন্ডিয়ান আইডলের গ্রান্ড ফিনালে?
যেমনটা জানা যাচ্ছে আগামী ৫ ও ৬ই এপ্রিল দুই দিন ধরে হবে গ্রান্ড ফিনালে। তবে মজার বিষয় হল মোট ছয় ফাইনালিস্টদের মধ্যে ৩ জনই বাংলার। তাই এবছর ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা বাংলায় ছিনিয়ে নিতে পারে বলে আশায় বুক বাঁধছে বাঙালিরা। যদিও বাস্তবে কি হয় সেটা আগামী দিনেই জানা যাবে। চলুন এবার ছয় ফাইনালিস্টদের সাথে পরিচয় করে নেওয়া যাক।
চৈতন্য মৌলি: মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাইনালে পৌঁছে সবাইকে চমকে দিয়েছেন চৌতন্য মৌলি। ২০০৭ সালে মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে জন্ম এই তরুণ গায়কের। এর আগে তিনি কালারস টিভির ‘রাইজিং স্টার সিজন ২’-এ অংশ নিয়ে ৯৪% ভোট পেয়ে দর্শকদের মন জিতেছিলেন। ‘সুপারস্টার সিঙ্গার’-এও শীর্ষ ১০-এ জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এবার ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি জিততে মরিয়া চৌতন্য।
স্নেহা শঙ্কর: স্নেহারও বর্তমান বয়স মাত্র ১৮। তিনি বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রাম শঙ্করের মেয়ে ও সুফি গায়ক শঙ্কর-শম্ভু জুটির শঙ্করের নাতনি। ছোট থেকেই সঙ্গীতের জগতে পা রেখেছেন স্নেহা। ‘হনুমান: দ্য দামদর’ থেকে ‘চুপ: রিভেঞ্জ অফ দ্য আর্টিস্ট’-এর মতো সিনেমায় গান গেয়েছেন তিনি। এছাড়া ‘মেরি দুর্গা’ সিরিয়ালের টাইটেল ট্র্যাকও তাঁর কণ্ঠে শোনা গেছে।
অনিরুদ্ধ সুরস্বম: অনিরুদ্ধ সুস্বরম শুধু গানেই নয়, পড়াশোনাতেও সমান পারদর্শী। আইআইটি মাদ্রাজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক করেছেন তিনি। তবে গানের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে টেনে এনেছে মঞ্চে। ‘সুপার সিঙ্গার ৬’-এ ফাইনালে পৌঁছেছিলেন অনিরুদ্ধ।
মানসী ঘোষ: কলকাতার কাছেই দমদমের পাইকপাড়ার মেয়ে মানসী ঘোষ। তাঁর বয়স ২৪-এর কাছাকাছি। এর আগে ‘সুপার সিঙ্গার সিজন ৩’-এ ফাইনালে পৌঁছেও ট্রফি জিততে পারেননি। সেবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এবার কি ইন্ডিয়ান আইডলের মুকুট উঠবে মানসীর মাথায়? সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও পড়ুনঃ ষ্টার জলসায় শুরুর পথে বাংলার বিগ বস! সঞ্চালনায় সৌরভ গাঙ্গুলি? শীঘ্রই হবে প্রোমো শুট
শুভজিৎ চক্রবর্তী: খড়গপুরের শুভজিৎ চক্রবর্তী এক সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর বাবা একটি ছোট পানের দোকান চালান। শুভজিৎ নিজেও বাবার দোকানে কাজ করেছেন। তবে পরিবারের অনেকেই বাউল গানের সঙ্গে যুক্ত। সেই থেকেই হিন্দি আর বাংলা লোকসঙ্গীতের ফিউশনে শুভজিতের গান সবাইকে মুগ্ধ করে তুলেছে।
প্রিয়াংশু দত্ত: কলকাতার ছেলে প্রিয়াংশু দত্ত ইতিমধ্যেই গায়ক পাপনের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। পাপন তাঁর গান শুনে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, প্রিয়াংশুকে নিয়ে কনসার্টে গান গাওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। এবার ফাইনালে কি বিজেতার শিরোপা উঠবে তারই মাথায়?