পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ রাজ্যে বিগত কয়েক মাসে একেরপর এক নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতি ধরা পড়েছে। একাধিক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল শহরের নির্মাণ আইন নিয়ে। অবাক করার বিষয় হল এক্ষেত্রে পুরসভার এগ্জিজিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারেরাও জরিপ বলে অভিযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।
এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়াদের হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের
আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে ওয়াটগঞ্জে এক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগের জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। ইতিমধ্যেই বেআইনি ওই নির্মাণটিকে ভাঙার নির্দেশ দেওয়া দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। আগামী ১৬ই মে এর মধ্যে বাড়ি খালি করতে হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে পুলিশেরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানা যাচ্ছে। মামলা চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, এই ধরণের অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের অফিস থেকে সোজা জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারিও দেন।
ক্ষোভ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির
মামলার শুনানির সময় কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, আপনি অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। হলফনামা দিয়ে আদালতকে ভুল পথে চালনার চেষ্টা করছেন? নিজেকে খুব স্মার্ট ভাবেন? কোথাও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগউঠলে সেখান সশরীরে যাওয়ার কথা আপনার, যাননি কেন? বেনিয়মের অভিযোগ উঠলে তো কিছু পদক্ষেপ করতে হবে যাতে বাকিরা ভয় পায়।
আরও পড়ুনঃ রেশন সুবিধা দেখে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট! ভতুর্কির দিন কি শেষ!
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, এন এন ব্যানার্জী রোডের অফিস থেকে সোজা জেলে পাঠিয়ে দেব। আপনার অবসরের আর কিছুদিনই মাত্র বাকি। তার আগেই চাকরি চলে গেলে ভালো লাগবে?
শেষে মামলা সম্পর্কে বিচারপতি জানান, ১৬ই মের মধ্যে বেআইনি বাড়ির তিন তলা, চারতলা ও পাঁচতলা ভেঙে ফেলতে হবে। যদি কেউ বাড়ি খালি করতে নারাজ থাকে তাহলে পুলিশ মোতায়েন করে বাড়ি খালি করতে হবে পুলিশ কমিশনারকে। ওই কয়েকটা ইঁট খুলে বাড়ি ভেঙেছি বললে চলবে না, গোটা বাড়ি ভাঙার ভিডিও কর সেটা আদালতে জমা করতে হবে।