পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ পড়শী দেশ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর উপরে লাগাতার আক্রমণের খবর এসেই চলেছে। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাক করা হয়েছিল। সেখানে ২০ জনেরও বেশি পাক সেনা মারা যায়। এরপর আবারও বালোচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা হ্যায়। বেলুচ লিবারেশন আর্মি বা BLA এর তরফ থেকে এই অ্যাটাকের দায় স্বীকার করা হয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষার দিক থেকেই পাকিস্তান যে দুর্বল হয়ে পড়ছে সেটা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
৭ দিনে চাকরি ছাড়ল ২৫০০ পাক সেনা
তবে যেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেটা হল, গত এক সপ্তাহের মধ্যেই ২৫০০ পাক সেনা চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এর মূল কারণ হিসাবে উঠে আসছে প্রাণ বাঁচানোর ভয়। প্রাণের ভয়ে আর্মির কাজ ছেড়ে আসা সত্যিই চমকে দেওয়ার মত খবর। আফগানিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকেই এই দাবি করা হয়েছে যার জেরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে। তবে এটি এখনও জল্পনার পর্যায় রয়েছে।
আসলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও বিপর্যস্ত অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এদিকে বিরোধী সংগঠনের আক্রমণের জেরে সেনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এমনকি অর্থনীতির যে দশা হয়েছে তাতে, সেনার বেতন ও বাকি সুযোগ সুবিধাও পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই প্রাণ রক্ষার পাশাপাশি মধ্যে প্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলিতে আরও ভালো কাজের সন্ধান করতেই চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন পাক জওয়ানরা এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
বিদেশে চাকরির খোঁজে দেশ ছাড়ছে পাক সেনারা
সেনার চাকরি চারার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সৌদি আরব, কুয়েত বা কাতারের মত দেশে পাড়ি দিচ্ছেন জওয়ানরা। মূলত আরও উন্নত জীবনযাত্রা, উচ্চ বেতন ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপক পরিমাণে সেনা জওয়ানদের পদত্যাগ দেশের প্রতিরক্ষার জন্য মোটেই শুভ নয়। তাই এটা দ্রুত আটকাতে হবে, না হলে ভবিষ্যতে বড়সড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে উল্ল্যেখ্য, পাক সেনারা বিদ্রোহের শুরু করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। জওয়ানদের অনেকের মতে, আমরা শুধুমাত্র মরতে সেনাবাহিনীতে যোগদান করিনি। আমাদের জীবনের মূল্যও পাকিস্তানকে দিতে হবে। তাই দ্রুত এই সমস্যার নিস্পত্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুনঃ রেশন সুবিধা দেখে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট! ভতুর্কির দিন কি শেষ!
কি বলছে পাকিস্তান সরকার?
সেনাবাহিনীর এই বিপুল সংখ্যক পদত্যাগের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি পাক সরকার বা সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, দেশের সংবাদমাধ্যমেও এই বিষয়ে কোনো খবর বা আলোচনা প্রকাশ্যে আসেনি। তাই ভবিষ্যতে দেশের নিরাপত্তার কি হবে সেটাই এখন চিন্তার বিষয়ে হয়ে চলেছে।