পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ কথাতেই আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’, তাই বাংলা যে মাছ চাষের ক্ষেত্রে দেশের বাকি রাজ্যের তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকবে সেটা বলা যেতে পারে। রিপোর্টও তেমনটাই বলছে। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে ভারতের সবচেয়ে এবিসি মাছ উৎপাদন হয় পশ্চিমবঙ্গেই। তবে এবার আর দ্বিতীয় নয়, লক্ষ প্রথম হাওয়া। আর তার জন্যই কোমর কষছে রাজ্য সরকার।
দেশের মৎস উৎপাদনে দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ
ভারতের দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি মাছ চাষ হয় পশ্চিমবঙ্গেই। এছাড়া মৎসচারা উৎপাদনের নিরিখে প্রথম। আর বাংলারই তিন জেলা উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও মেদিনীপুরের হয় সিংহভাগ মাছ চাষ। তাই এবার মৎসচাষকে আরও গুরুত্ব দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
মৎসচাষে বাংলাকে সেরা করতে উদ্যোগী সরকার
ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে বেকার যুবক যুবতীরা যাতে কাজ পেতে পারে বা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাই এবার বছরে ৫০,০০০ মাছ চাষিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন মৎসচাষ ও চাষিদের আয় বাড়বে তেমনি এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও বাড়বে।
সরকারের মতে, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর যদি কেউ নিজস্ব পুকুরে মাছের চাষ শুরু করে তাহলে প্রতিমাসে ১৫০০০ টাকা থেকে ১৮০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবে। ফলে একদিকে যেমন আয়ের নতুন পথ খুলবে তেমনি বেকারত্বের সমস্যারও সমাধান হবে।
মৎস সম্প্রসারণ আধিকারিক সন্দীপ ভৌমিকের মতে, গত বছরে প্রায় ২০,০০০ যুবক যুবতীদের এই ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার এই সংখ্যাটাই বাড়িয়ে ৫০,০০০ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেকেই নিজের মত করে কাজ শুরু করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদহবাসীদের অপেক্ষার অবসান! নতুন লাইন থেকে বন্দে ভারত নিয়ে সুখবর দিল রেল
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কলকাতার নিউটাউনে নতুন একটি ১১০০ বেডের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি ধাপে হাসপাতাল তৈরি হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিন মঞ্চ থেকে কাজ সম্পন্ন হলে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।