শ্রীজিতা ঘোষ, কলকাতা: ‘অপারেশন সিন্দুর’ আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ! কপালের ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদের দেউলিয়া দেশকে বাঁচাতে ছুটে আসছে কখনও ভারতে তো কখনও ছুটছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ভারতের সঙ্গে বাড়তে থাকা কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দেউলিয়া বাংলাদেশ একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Air Defence System শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) সরকার লন্ডনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। এই দলটি আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। সূত্রে খবর, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হাজার কোটি টাকার একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে পারে। এই চুক্তির মূল্য প্রায় ৭৭০০ কোটি টাকা (₹77,00,00,00,000) বলে জানা গেছে।
অপারেশন সিন্দুরের প্রভাব
খবর আসছে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor)-রের পরপর করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই অভিযানে ভারত পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। সেখানে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। এর ফলে বাংলাদেশ নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Bangladeshi Army) নিয়ে আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে। এই কারণেই কী বাংলাদেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে? এখন এটাই ভাবার।
লন্ডনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি সামরিক প্রতিনিধি দল ১৯তম ফুল-স্পেকট্রাম এয়ার ডিফেন্স সামিট-এ যোগ দিতে লন্ডনে যায়। তিনি বাংলাদেশের রংপুর এরিয়ার কমান্ডার এবং ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (GOC)। এই দলে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ৬ জন সিনিয়র অফিসারও আছেন।
বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী?
বাংলাদেশ চায় একক কোনো দেশের উপর নির্ভর না করে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে। এতে করে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও উন্নত অস্ত্র কেনার সুযোগ মিলবে।
স্কাই স্যাবার সিস্টেম
বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ‘স্কাই স্যাবার’ নামের একটি মাঝারি পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পরিকল্পনা করছে। এই সিস্টেম ২০২১ সালে চালু হয়েছে এবং এটি প্রায় ৭৭০০ কোটি টাকার (প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার)। এটি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও মিসাইলকে ঠেকাতে সক্ষম। এটি ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং পোল্যান্ডে NATO-এর সুরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।