শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: অনলাইনই শেষ কথা। টাকা মানিব্যাগের বিক্রিও নাকি কমেছে। সাধারণ পথচলতি মানুষ থেকে দোকানদার, সবারই এখন খুচরোর সমস্যা। কিছু হলেই উত্তর আসে, কই খুচরো নেই। এমন করে কি আর বাজার চলে! তাই এবার বাজারে ক্যাশ ফেরাতে বড় ভাবনা ভাবতে পারে কেন্দ্র। এমনিতেই দেশে বাড়বাড়ন্ত ইউপিআই লেনদেন ভিসা-র লেনদেনকেও হার মানিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এখন জল্পনা বলছে, বড় অঙ্কের ইউপিআই পেমেন্টে চার্জ বসাবে কেন্দ্র সরকার।
দেখুন, ইউপিআই পেমেন্টের উপরে জিরো এমডিআর পলিসি পুনরায় একবার ভেবে দেখার আবেদন আগেই করেছিল পেমেন্ট কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। কেন্দ্রকে অনুরোধ জানিয়েছিল যে অনলাইন পেমেন্টের বিষয়টা একবার ভেবে দেখার। এতদিন সব চুপচাপ থাকলেও এখন সূত্রের খবর, কেন্দ্র ব্যাঙ্ক, ফিনটেক ফার্ম ও ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলা হতে পারে। বিস্তারিত আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কবে থেকে বসবে চার্জ? UPI Payment New Limit
খুব বেশি দেরি নেই। লাফিয়ে বাড়তে চলেছে অনলাইনে পেমেন্টের খরচ। ইউপিআই পেমেন্টের উপরে বসানো হতে পারে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট। সেই অনুযায়ী, ৩০০০ টাকার লেনদেনের উপরে অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া হতে পারে। ভারত সরকার এমনই নাকি বিবেচনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে, একটা স্বস্তির বিষয় হল, এর থেকে কম মূল্যের লেনদেনে কোনও চার্জ থাকবে না। সুতরাং খুচরো ব্যবসায়ীদের চিন্তা করে কাজ কী! তবে, আগামী দুই মাসে অর্থাৎ অগস্ট মাসের মধ্যেই ইউপিআই লেনদেনে চার্জ বসানো হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের উচ্চতম মেট্রো স্টেশন, মাটি থেকে উঠবে ৭৪ মিটার উঁচুতে! কোথায়?
মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট আদতে কী?
মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেটকে শর্ট ফর্মে এমডিআর বলতে পারেন। মূলত এই ফি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য। তাঁদের ব্যাঙ্ক বা পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের দিতে হয় এই টাকাটা। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইউপিআইয়ের মতো ডিজিটাল ট্রানজাকশনের জন্য ০.৯ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ চার্জ কাটা হয়। ব্যবসায়ীকে অনলাইন পেমেন্ট করলেই খসে পকেট।
