বলিউড ডিভা কাজল যিনি, ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বেখুদি’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন। বলি স্টার শাহরুখের সাথে সাথে কাজলও ৩০ বছর পূর্ণ করলেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। নিজের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে একাধিক সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি দক্ষিণী সুপারস্টার সুরিয়া শিবকুমারের সাথে ভারত থেকে তিনিও আমন্ত্রিত হয়েছেন ২০২২ সালের অস্কার কমিটিতে।
পিঙ্কভিলার সাথে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন OTT প্লাটফর্মের রমরমা এবং তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে কথা বলতে দেখা গেলো অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই মুহূর্তে প্রতিটি শিল্পীর কাছে ভালো সুযোগ রয়েছে। OTT-র দৌলতে আমরা বেশকিছু দূর্দান্ত শিল্পী পেয়েছি। যারা সত্যিকারের অভিনেতা-অভিনেত্রী তারা একটা ভালো স্টেজ পেয়েছে। যার কারণে ৩৬-২৪-৩৬ ফিগার অথবা ৪৬ ইঞ্চির ছাতি কোনোকিছুই আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
কাজলের মতে নব্বইয়ের দশকের কথা বললে সেই সময় প্রেক্ষাগৃহ গুলিই ছিলো বিনোদনের একমাত্র উৎস। সেইসময় প্রতিভা থাকলেও বড়ো পর্দায় চান্স পাওয়া এতোটাও সহজ ছিলোনা। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, বদলেছে মানুষের পছন্দ, চিন্তাভাবনা। ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে প্লাটফর্মগুলিও। OTT আসায়, মানুষ এমন এক প্লাটফর্ম পেয়েছে যেখানে একজন অভিনেতা তার মধ্যেকার সত্যিকারের শিল্পীসত্বাকে মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই OTT-তে কাজ করেছেন কাজল। রেনুকা শাহানে পরিচালিত ‘ত্রিভাঙ্গা’ প্রোগ্রামের হাত ধরে OTT-তে অভিষেক হয়ে গেছে অভিনেত্রীর। এই প্রোগ্রামটিতে কাজলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তানভি আজমি এবং মিথিলা পালেকর।
জানিয়ে রাখি, কাজল অভিনীত ‘ত্রিভাঙ্গা’ ছবিটি মূলত একটি পরিবারের তিনজন মহিলার জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত। যারা নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া একটা জীবনের শিকার। প্রতিনিয়ত নিজেদের সম্পর্কের টানাপোড়নকে ঠিক করার চেষ্টায় মরিয়া এই তিনজন।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীকে শেষ দেখা গিয়েছিলো ওম রাউত পরিচালিত ‘তানহাজি’ ছবিতে। ছবির মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন স্বামী অজয় দেবগন। ছবিটি ছিল ‘তানহাজি’ সম্পর্কে যিনি ছিলেন শিবাজী মহারাজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং বিশিষ্ট সেনাপতি। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন সইফ আলি খান, নিয়া শর্মা, শরদ কেলকার এবং শোভিতা ধুলিপালা। এছাড়াও জানিয়ে রাখি, খুব শীঘ্রই ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবিতে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে কাজলকে।