পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ভ্রমণের জন্য হোক বা কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রা করতে গেলে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল পাসপোর্ট। তাছাড়া পরিচয়পত্র হিসাবেও কাজ করে এটি। তবে সম্প্রতি পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদনের নিয়ম একেবারে বদলে গেল। তাই যারা বিদেশে ঘোরার প্ল্যান করেছেন বা করবেন তাঁরা অবশ্যই আজকের প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ুন।
বদলে গেল পাসপোর্ট তৈরির নিয়ম
সম্প্রতি ১৯৮০ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের পাসপোর্ট আইন সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে নতুন নিয়ম কার্যকরী হচ্ছে ২০২৫ সাল থেকেই। কি বলছে নিয়ম? জানা যাচ্ছে, যে সমস্যা নাগরিকেরা পাসপোর্টের জন্য আবেদনকরবেন তাদের মধ্যে ১লা অক্টোবর ২০২৩ সালের পর জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য বার্থ সার্টিফিকেটই একমাত্র গ্রহণযোগ্য নথি। হ্যাঁ, রেজিস্টার অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ বা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফ থেকে জারি করা জন্মের শংসাপত্র ছাড়া আর অন্য কোনো নথিই পাস্পোর্টের জন্য গ্রহণ করা হবে না।
এবার প্রশ্ন আসতেই পারে, তাহলে যারা ২০২৩ সালের ১ লা অক্টবরের আগে জন্মেছেন তাদের কি হবে? উত্তর হল তাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য নথি যেমন ভোটার কার্ড, পান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা স্কুলের দেওয়া সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য হবে।
হটাৎ কেন বদলানো হল নিয়ম?
অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হটাৎ কেন এমন বদল আনা হল নিয়মে? আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, জন্মের শংসাপত্রই সবচেয়ে ভালো ও নির্ভরযোগ্য নথি। তাই এটিকে বাধ্যতামূলক করা হলে একদিকে যেমন গোটা পক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়বে তেমনি জাল বা প্রতারণার ঘটনাও অনেকটাই কমে যাবে। তাছাড়া রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর সংশোধনের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই এই নিয়ম আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার নতুন ট্রেন, সময়সূচী জারি করল পূর্ব রেল
আরও সহজ হবে পাসপোর্ট আবেদন
নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন নিয়ম চালু হওয়ার ফলে আগের থেকে আরও সহজ হয়ে যাবে পাসপোর্টের জন্য আবেদনের পক্রিয়া। অনেকসময় দেখা যায় বাকি ডকুমেন্টে জন্ম তারিখ ভুল থেকে যায়, এর ফলে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু জন্ম সার্ফিটিকেট দিয়েই পাসপোর্ট আবেদন করলে সেই সমস্যাথাকবে না। তাই আগামীদিনে বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে পাসপোর্ট হবে না এমনটা ধরে নেওয়া যেতেই পারে।