Bollywood,Entertainment,Gossip,Aamir Khan,Laal Singh Chaddha,Flop Movie,Film Critics,Boycott,বলিউড,বিনোদন,গসিপ,আমির খান,লাল সিং চাড্ডা,ফ্লপ ছবি,বয়কট,সিনেমা সমালোচক

Moumita

‘বেশি মাতব্বরি করলে এরকমই হয়’, পরিচালকের কথা না শুনে নিজের মর্জিমত অভিনয় করেই ফ্লপ আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’!

গতকালই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আমির খান অভিনীত বহুল চর্চিত তথা বিতর্কিত ছবি লাল সিং চাড্ডা। ছবির শুরু থেকেই যেভাবে বিতর্ক ঘিরে ধরেছিলো তাতে করে বক্স অফিস কালেকশন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো অভিনেতা থেকে নির্মাতা সবাই‌। আর বলাইবাহুল্য যে হাজার ঢাকঢোল পিটিয়েও দর্শকদের বয়কট এড়াতে পারল না ‘লাল সিং চাড্ডা’। মুক্তির প্রথম দিনেই রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়েছে ফরেস্ট গাম্পের অনুকরণে নির্মিত এই ছবিটি।

   

ছবি মুক্তির পর থেকেই আলোচনা সমালোচনা কম হচ্ছেনা। দেশজুড়ে বয়কটের ডাক’কে যেমন ছবি ফ্লপ হওয়ার একটা কারণ হিসেবে দেখছে সবাই অপরদিকে কিছু মানুষ ছবির গঠনমূলক সমালোচনাও করছে। এবং সেক্ষেত্রে বেশিরভাগেরই দাবি সিনেমার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হচ্ছে আমির খানের অভিনয়।

সমালোচকদের মতে আমিরের সাড়ে সর্বনাশের শুরু নাকি প্রথম দিন থেকেই। ‘লাল সিং চাড্ডা’র স্ক্রিপ্ট লিখেছেন অতুল কুলকার্নি। সম্প্রতি বিখ্যাত ছবি ‘সাইরাত’এর পরিচালক নাগরাজের সাথে কথোপকথনে বসেছিলেন আমির। সেখানেই আমিরের মুখ থেকেই জানা যায় যে, আগেই রিহার্সালের সময় অতুল নাকি আমিরকে বলেছিলেন অভিনয় আরো একটু ডাউন প্লে হবে। আরো একটু ফ্ল্যাট হতে হবে অভিনয়। লাল সিং-কে আরো একটু শাই পারসন হিসেবে প্রেজেন্ট করতে হবে।

কিন্তু আমির তা শোনেননি। একথা তো প্রায়শই শোনা যায় যে, আমিরের যে কোনো ছবিতেই পরিচালকদের কাজে নাকি ইন্টারফেয়ার করে থাকেন তিনি‌। এই ছবিতেও তার অন্যথা হয়নি। আর যেহেতু ‘লাল সিং চাড্ডা’র প্রযোজক তিনি নিজেই তাই অতুল আর তার মুখের উপর কথা বলতে পারেনি। আর এদিকে ছবির পরিচালক অদ্বৈত চন্দন তিনিও আমিরের দীর্ঘদিনের পরিচিত।

অদ্বৈত চন্দন এখনও পর্যন্ত এর আগে একটিই ছবি পরিচালনা করেছেন যা হলো ‘সিক্রেট সুপারস্টার’। এই ছবিটি ভারতীয় বাজারে বিশেষ আয় না করতে পারলেও বিদেশের বক্স অফিসে উতরে যায়‌। সমালোচকদের মতে অদ্বৈত চন্দন আমিরের ছায়াসঙ্গী হওয়ায় তিনিও আমিরের হ্যাঁ তেই হ্যাঁ মিলিয়ে গেছেন। আর সর্বনাশের শুরু তখনই। আর ফলস্বরূপ কাল্ট ক্লাসিক ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর ভারতীয় রিমেক হয়ে গেছে অনেক বেশি কার্টুনিশ আর ক্যারিক্যাচারিশ।

দর্রশকদের মতে, একটা সিনেমা শুধুমাত্র পরিচালক, প্রডিউসার, অভিনেতা আর অভিনেত্রীর নয়, সেই ছবিতে থাকে শত শত মানুষের পরিরম আর রুটিরুজির রাস্তা। এই ছবির রাইট পেতে জীবনের ৯ টা বছর দিয়েছেন আমির খান। দীর্ঘ ১৮৫ দিন ধরে চলেছে শুটিং। নিখুঁত শটের জন্য ব্যবহার হয়েছে উন্নত ভিএফএক্স। কোথাও কোনো ত্রুটি থেকে গেলো না তো, সেই কারণে বারংবার ডেট পেছানো হয়েছে। সর্বশেষ, প্রচারেও কোনোরকম খামতি রাখা হয়নি। কিন্তু এতোকিছুর পরেও তীরে এসে তরী ডুবলোই। আর সমালোচকদের মতে এর প্রধান কারণ হলো বয়কটের পাশাপাশি দূর্বল অভিনয়। অনেকে তো এ ও বলছে যে এরকম একটা ছবির রিমেক না বানানোটাই ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো।