পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বর্তমানে সিংহভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারেই রান্নার জন্য এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার হয়। তবে ধীরে ধীরে গ্যাসের দাম বাড়তে বাড়তে ৮৩২ টাকা হয়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন বেশি দামে সিলিন্ডার কিনতে হয় তেমনি হুট করে গ্যাস শেষ হলে বুকিং করার পরেও ১ থেকে ২ দিন অপেক্ষা করতে হয় সিলিন্ডার পাওয়ার জন্য। তবে বাংলার মানুষদের জন্য এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে শীঘ্রই।
শীঘ্রই চালু হবে পাইপলাইনে গ্যাস সাপ্লাই
যেমনটা সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল শীঘ্রই পাইপলাইনের মাধ্যম্যে ন্যাচারাল গ্যাস সাপ্লাই দেওয়া চালু হবে। যে হারে কাজ চলছে তাতে আগামী জুন মাসের মধ্যেই বাড়ি বাড়ি গ্যাস পাঠানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটা হলে একদিকে যেমন বারবার গ্যাস বুকিংয়ের ঝামেলা থাকবে না, তেমনি খরচও কমবে অনেকটাই।
জানা যাচ্ছে কল্যাণী বা চন্দননগরের পাপলাইনের কাজ শুরু হচ্ছে। বেঙ্গল গ্যাসের তরফ থেকেই পাইপের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ চালু করা হবে। এই দুই অঞ্চলে একবার শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে আরও এলাকায় পাইপলাইন চালু হবে। যদিও কলকাতায় কবে থেকে এটা শুরু হতে পারে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
কল্যাণী ও চন্দননগরে শুরু হবে পরিষেবা
কল্যাণী ও চন্দননগরে ইতিমধ্যেই পাইপ বসানোর কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে বলা যেতেই পারে। এছাড়া বিজিসি এর তরফ থেকে গয়েসপুর ও মগরা এই দুই জায়গায় সিটি গেট স্টেশন বানানো হয়েছে। তাই খুব শীঘ্রই সস্তায় পাইপের মাধ্যমে গৃহস্তের বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া চালু হবে। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তীতে নদীয়া ও হুগলি জেলার বৃহত্তর এলাকায় গ্যাস পৌঁছানোও অনেকটাই সহজ হবে।
আরও পড়ুনঃ ফুল দামে হাফ সুবিধা অতীত! কনফার্ম টিকিটের মত সুবিধা মিলবে RAC-তেও, জানাল রেল
একবার এই জেলা স্তরে পরিষেবা শুরু হলেই পরবর্তীতে শহরেও এই সুবিধা চালু করা হবে দ্রুত। এই প্রসঙ্গে বিজিসি এর সিইও জানান, ‘চলতি অর্থবর্ষেই ৩০,০০০ বাড়িতে পাইপের মাধ্যমে গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তাই পাইপ বসানোর কাজ চলছে জোর কদমে। শেষ হলেই গ্যাসের কানেকশন দেওয়া শুরু হবে’। এছাড়া আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতাতেও পাইপলাইনে গ্যাস দেওয়া চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।