ন্যাড়া মাথায়, হাতে রুদ্রাক্ষ, গলায় তুলসীর মালা, কপালে এঁকেছেন চন্দন, গায়ে দিয়েছেন গেরুয়া বসন। গত শুক্রবার হঠাৎই ‘বিনোদিনী’ রূপে নিজেকে মেলে ধরলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। অভিনেত্রীর এই নতুন লুক দেখে কার্যত চমকে গেছেন সকলেই। তবে কি রুক্মিণীর পর প্রিয়াঙ্কাও বিনোদিনীর বায়োপিকে অভিনয় করছেন?
নাহ্, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ এটি বিনোদিনীর বায়োপিক নয়, প্রযোজক রাণার নতুন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। এই ছবিরই একটি পার্টে দেখানো হবে গিরিশ ঘোষ এবং বিনোদিনী দাসীর গল্প। এছাড়াও এখন প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে ‘বিবাহ অভিযান পার্ট-২’।
তবে যত ছবিই আসুক না কেন, প্রিয়াঙ্কা সরকারের (Priyanka Sarkar) নাম করলে সবার আগে যে ছবিটির নাম মাথায় আসে তা হল ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar)। প্রথম ছবিতেই যে পরিমাণ সাফল্য তিনি পেয়েছিলেন তা সত্যিই দেখার মত ছিল। এমনকি আজও এই ছবি নিয়ে আলোচনা চলে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে।
২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি অনেকগুলো কেরিয়ার গড়েছিল। পরিচালক হিসেবে রাজ চক্রবর্তীকে দিয়েছিল এক নতুন দিশা। পাশাপাশি রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার জীবনেও এসেছিল নতুন মোড়। তবে এই ছবির প্রসঙ্গ আসলেই এখন প্রিয়াঙ্কার আনন্দের থেকে কষ্ট-ই বেশি হয়। ছবির সাথে জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু দুঃখের স্মৃতি।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘মানুষ আমায় দেখলে এখনও বলেন, চিরদিনই তুমি যে আমার খুব ভালো লেগেছিল। সকলে হয়ত আনন্দ করে, ভালোবেসেই কথাটা বলেন, তবে আমার আনন্দের বদলে দুঃখ হয়। কারণ ওমন সাফল্যের পরও আমি ইন্ডাস্ট্রি থেকে অদৃশ্য হয়ে যাই।’
অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘মা-বাবা আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করে, স্বপ্ন দেখেছিলেন, কিন্তু আমি তাদের সেই স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা ভাবলেই কষ্ট হয়, অপরাধবোধ কাজ করে। এখন হয়ত অনেক সুন্দরভাবেই সবকিছু সামলাই।’ প্রসঙ্গত, এই ছবির প্রেম গড়িয়েছিল বাস্তবে। এবং ছবির কাহিনীর মতোই বিচ্ছেদও হয়ে গেছে তাদের। বর্তমানে আলাদাই রয়েছেন তারা।