নিউজশর্ট ডেস্ক: বর্তমানে রেশন দোকানের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর শুধুমাত্র চাল, ডাল, গম পাওয়া যায় না। এর পাশাপাশি আরো অনেক জিনিস রেশন দোকান থেকে কিনতে পাওয়া যায়। এক কথায় মুদিখানা দোকানের প্রায় প্রচুর জিনিস রেশন দোকানে(Ration Shop) কেনা যায়। এবার সাধারণ মানুষদের জন্য রয়েছে আরও বড় চমক।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিচয় পত্র বা নথি তৈরি করার জন্য আগামী দিনে রেশন দোকানে গেলেও কাজ হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে এরপরে রেশন দোকানে গ্রাহকদের মাসিক খাদ্যশস্য দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু তরুণ তরুণীকে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ নিয়ে কাজ করতে দেখা যাবে। আধার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় পত্র, যাবতীয় সরকারি নথিপত্র কাজকর্ম রেশন দোকানে করতে পারবেন।
রেশন দোকানের এই পরিবর্তনের ফলে একদিকে যেমন দূরদূরান্তে থাকা গ্রামবাসীদের সুবিধা হবে। ঠিক তেমনি প্রচুর বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। সম্প্রতি রাজ্য খাদ্য দপ্তর প্রত্যেকটি রেশন দোকানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলার প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে খাদ্য দপ্তরের এই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাংলাতে ৩,৬০০ টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের ৪০ টি দপ্তরের ৩২৩ টি পরিষেবা অনলাইনে পেতে পারেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: Business Idea: একঘেয়ে চাকরি ছেড়ে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা, মাসের রোজগার গুণে শেষ হবে না
রেশন তোলার জন্য সাধারণ মানুষকে রেশন দোকানে আসতে হয়। এবার বাংলায় সহায়তা কেন্দ্রের পরিষেবা পেলে আরো মানুষ এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তৈরি করতে আসবেন। এরপরে এই পরিষেবা পিছু সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন ডিলাররা। আর এর থেকে ডিলারদেরও লাভ হবে। তবে শুধু বাংলার সরকার নয়, এই বিশেষ পরিষেবা গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারও।
রেশন দোকানে কমন সার্ভিস সেন্টার বা CSC খুলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে একেবারেই কম পয়সা খরচ করতে হয়। এর পাশাপাশি রেশন ডিলাররাও এর থেকে কমিশন পাবেন। তবে শুধু এটাই নয়, এর পাশাপাশি রেশন ডিলারদের জন্য আরও একটি সুখবর রয়েছে। সেটি হল এবার প্রত্যেক কুইন্টাল খাদ্যশস্য পিছু কমিশনে আরো ২০ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।