পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি প্রকল্পের টাকা পেতে হলে বা কোনো সঞ্চয় করতে গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লাগবেই। গোটা দেশে একাধিক ব্যাঙ্ক রয়েছে ঠিকই, তবে সবাইকে চালনা করে বা প্রত্যেকে যার নিয়ম মেনে চলে সেটা হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা RBI। আরবিআই এর তরফ থেকে সমস্ত ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর নজর রাখা হয়। কোনো বেনিয়ম হলেও অ্যাকশনও নেওয়া হয়। সম্প্রতি এমনটাই হয়েছিল এক কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সাথে। তবে এবার গ্রাহকদের জন্য স্বস্তির খবর মিলল।
গ্রাহকদের স্বস্তি দিয়ে বড় ঘোষণা করল আরবিআই
আসলে গত ২৪শে মুম্বাইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে আরবিআই এর তরফ থেকে। যার ফলে টাকা জমা ও তোলা দুটোই বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণা আসার পর রীতিমত মাথায় হাত পড়েছিল গ্রাহকদের। তবে এই ঘোষণার ২ সপ্তাহ প্রিয় একপ্রকার স্বস্তি দিল আরবিআই। এখন থেকে ২৫০০০ টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহকেরা।
নতুন এই টাকা তোলার নিয়ম জারি করার ফলে ব্যাঙ্কের ৫০% গ্রাহকেরা নিজেদের সমস্ত জমা টাকা করা টাকা তুলে ফেলতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে আরবিআই এর তরফ থেকেই। ব্রাঞ্চে গিয়ে বা ATM থেকে এই টাকা তুলে নেওয়া যাবে। বাকি ৫০% গ্রাহকেরা আপাতত ২৫০০০ টাকাই তুলতে পারবেন।
ফের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক যেটি প্রভাদেবি, মুম্বাইতে অবস্থিত সেখানে একপ্রকার জালিয়াতি চলছিল। যেখানে ব্যাঙ্কে মাত্র ১০ কোটি টাকা রাখার ক্ষমতা ছিল সেখানে আরবিআই এর পরিদর্শন চলাকালীন ১২২.০২৮ কোটি টাকা পাওয়া যায় ক্যাশ ইন হ্যান্ড বইতে। এরপর মুম্বাই পুলিশের ইকোনোমিক অফেন্সেস উইং গোটা ঘটনার তদন্তে নামে। ইতিমধ্যেই ২ জন ব্যাঙ্কের লোক ও ২ জন প্রাক্তন ব্যাঙ্ক অফিসিয়ালদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ৫৫ টাকা বিনিয়োগে ঘরে বসে প্রতিমাসে পান মোটা পেনশন! বড় স্কিম সরকারের
উধাও আমজনতার ১২২ কোটি!
আরবিআই এর পরিদর্শক দলের মতে ভল্ট থেকে প্রায় ১২২ কোটি টাকা উধাও হয়ে গিয়েছিল। কর্পোরেট অফিসের ব্যালেন্স শীট যেখানে বলছে ব্যাঙ্কের ভল্টে ১৩৩.৪১ কোটি টাকা থাকা উচিত সেখানে দেখা গেল প্রভাবতী ব্রাঞ্চে যেখানে ১০ কোটি রাখার ক্ষমতা ছিল সেখানে মাত্র ৬০ লক্ষ টাকা রয়েছে।