শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি এক বড় ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করে দিল (RBI Bank Action)। এই সিদ্ধান্ত ২২ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। এর পর থেকে এই ব্যাঙ্ক কোনও ধরণের ব্যাঙ্কিং কার্যক্রমের জন্য যোগ্য থাকবে না। তাহলে গ্রাহকের কী হবে? মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে অনেকের। হঠাৎ এমন পদক্ষেপই বা কেন করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?
আরবিআইয়ের পদক্ষেপের কারণ
আরবিআই তার সিদ্ধান্তে উল্লেখ করেছে যে এই ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্কটি তার আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। যদি ব্যাঙ্কটি এভাবে চলতে থাকত, তাহলে কেবল জনস্বার্থই বিপন্ন হত না, বরং আমানতকারীদের জমা করা মূলধনও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারত। অতএব, জনস্বার্থ এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করা প্রয়োজন বলে মনে করেছে RBI।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের সমবায় সমিতির রেজিস্টারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাঙ্কটি বন্ধ করে একজন লিকুইডেটর নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লিকুইডেটর ব্যাঙ্কের সম্পদ মূল্যায়ন করবেন এবং সেগুলো লিকুইডেশনের প্রক্রিয়া করবেন। আর ব্যাঙ্কের অবশিষ্ট আর্থিক সম্পদের যথাযথভাবে নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাফিয়ে কমতে পারে বন্দে ভারতের ভাড়া! নতুন প্ল্যানিং রেলের
গ্রাহকেরা এবার কী করবেন?
উল্লেখ্য, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) কর্তৃক প্রদত্ত বীমা সুবিধার অধীনে, প্রতিটি আমানতকারী তাদের আমানতের উপর ৫ লক্ষ পর্যন্ত বীমাকৃত পরিমাণের নিশ্চয়তা পেয়ে থাকেন। ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও আমানতকারীদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই বীমা প্রকল্পটি। তাই আপনি যদি এই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন,
- প্রথমে আপনার DICGC বীমা দাবির জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করা উচিত।
- আপনার অ্যাকাউন্টগুলি আপডেট রাখুন এবং লিকুইডেটরের সঙ্গে সিঙ্ক করুন যাতে আপনি আপনার টাকা ফেরত সংক্রান্ত সমস্ত আপডেট পেয়ে যান।
- এর পাশাপাশি, নতুন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন।
কোন ব্যাঙ্কের কপাল পুড়ল?
জানা গিয়েছে, অজন্তা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ঔরঙ্গাবাদ-ভিত্তিক এই ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থার অবনতি এবং ভবিষ্যতে দুর্বল আয়ের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।