শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: রোজ ভ্যালি চিট ফান্ড বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর। ফেরত প্রক্রিয়া শুরু। আপনিও পাবেন! রোজ ভ্যালি চিট ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় অগ্রগতি। ৪৫০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ওড়িশার খুরদা জেলা ও দায়রা আদালতের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এই সুদিন এনে দিল।
আদালতের কি এমন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত!
রোজ ভ্যালি মামলায় খুরদা আদালতের সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত। সম্পদ নিষ্পত্তি কমিটির (এডিসি) আবেদনের ভিত্তিতে, আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে বাজেয়াপ্ত করা সম্পদ বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হবে। এই রায় ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরা জুড়ে লক্ষ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের হারানো অর্থের একটি অংশ পুনরুদ্ধারের দরজা খুলে দিয়েছে। গত ৭ মার্চ প্রতারিত বিনিয়োগকারীদের তহবিল ফেরত দেওয়ার এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফেরতের প্রক্রিয়া কীভাবে হবে?
ইডির ভুবনেশ্বর জোনাল অফিস অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে। এখনও পর্যন্ত ৩১ লক্ষ বিনিয়োগকারীর দাবি www.rosevalleyadc.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে, ইতিমধ্যেই ৩২,৩১৯ জন বিনিয়োগকারীকে ২২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ফেরতের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাস ধরে চলবে, কারণ আরও দাবি পর্যালোচনা এবং প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই, এই পদক্ষেপ লক্ষ লক্ষ রোজ ভ্যালি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বস্তি নিয়ে আসে যারা বছরের পর বছর ধরে তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আপনি আপনার টাকা কীভাবে দাবি করবেন?
আপনি যদি রোজ ভ্যালি চিটফান্ডে বিনিয়োগকারী হন এবং দাবি করতে চান, তাহলে www.rosevalleyadc.com-এ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি দেখুন। প্রক্রিয়াটি সহজ, এবং আপনি অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য আপনার দাবি রেজিস্টার করতে পারেন।
বলা বাহুল্য, এই মামলায় ইডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা সম্পত্তি জব্দ, সম্পদ দখল এবং এখন, প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের কাছে প্রতারণার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এই প্রচেষ্টা পশ্চিমবঙ্গ, আসাম সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিনিয়োগকারীরা যাতে তাদের টাকা ফেরত পেতে পারেন তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক গঠিত সম্পদ নিষ্পত্তি কমিটি (ADC), প্রাক্তন বিচারপতি দিলীপ কুমার শেঠের নেতৃত্বে এবং প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।