বাংলা ধারাবাহিক,টেলিভিশন,মিঠাই,বিয়ে,বিনোদন,Bengali Mega Serial,Telivision,Entertainment,Mithai,Marriage

Moumita

সব বাধা পেরিয়ে কি এক হতে পারলো নীপা-রুদ্র?’মিঠাই’-র আগামী পর্বে থাকছে বিরাট চমক!

অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হলো নীপার‌। বরবেশে হাজির হলো রুদ্র। একদিকে দুষ্কৃতিকে পাকড়াও অপরদিকে বিয়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজই বেশ দক্ষতার সাথে সামলে নিলো রূদ্র। বেশ খুশির হাওয়া বইছে মিঠাই পরিবারের।

   

শুভদৃষ্টি, মালা বদলের পর বেশ আনন্দ মনেই রয়েছে সবাই‌। এদিকে প্রতিটা মুহূর্ত নিজের ক্যামেরায় বন্দী করে নিচ্ছে স্যান্ডি। বিয়ের সময় প্রতিটি পুরুষেরই কিছু আবদার থাকে তার বৌয়ের কাছে। ব্যতিক্রম নয় রুদ্রও।

নীপাকে আদেশ করেছে তাকে নাকি বেশ মোটা করে সিঁদুর পরতে হবে। তবে বাংলা ধারাবাহিক বলে কথা, এখানে কোনো শুভকাজ কি আর বিনা বাধায় হয়? ঠিক সময়ে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হাজির হয়ে পড়েছে নীপার মা সুলতা।

সাথে রয়েছে তোর্সা, রাজীব আর অমরেশ। তবে কথায় আছে না ‘মিঁয়া বিবি রাজি তো ক্যায়া করেগা কাজি’, ঠিক সেরকমই সুলতার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই নীপার সিঁথিতে সিঁদুর পরালো রুদ্র। আর নিজের এই অপমান সহ্য করতে না পেরে লাগে দুঃখে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সুলতা।

সবাই যতই বোঝায় যে আর কিছুই করার নেই, নীপার বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু সুলতা তা মানতে রাজি নয়। এদিকে স্বপ্ন পূরণ হলেও মায়ের মন তো পাওয়া গেলোনা তাই মন খারাপ করে বসে আছে নীপা। তবে সিদ্ধেশ্বর কিন্তু খুব খুশি। নাতনী আর নাতজামাইকে আশীর্বাদ করার জন্য গিন্নি সুষমাকে নিয়ে হাজির হয়ে গেছেন তিনি।

সুলতার এই ব্যবহারে ক্ষুন্ন হয়েছে রুদ্রর মনও। তখনই তাকে সান্তনা দিতে এগিয়ে আসে অনুরাধা। তিনি বলেন তারা একে অপরকে ভালোবাসে আর তাই পালিয়ে বিয়ে করে কোনো ভুল করেনি। অবশ্য সুষমার বক্তব‌্য অন্যরকম। তিনি বলেন কর্তা এই বিয়েতে হাত দিলেই এতো ঝামেলা কিছুই হতো না। ধুমধাম করেই দেওয়া যেতো নাতনীর বিয়ে।