পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য মাধ্যম হল ট্রেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ লোকাল ট্রেন ব্যবহার করেই কাজে পৌঁছে যান। তবে অনেকেই এমন আছেন যারা, সফর করলেও টিকিট কাটেন না। রেলের তরফ থেকে একাধিকবার টিকিট কেটে যাত্রার কথা ঘোষণা করা হলেও, কথা কার কানে যায়! তাই এবার শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় সামলাতে ও বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ পুরোপুরি বন্ধ করতে বড় পদক্ষেপ নিল রেল। এবার পূর্ব রেল চালু করল মোবাইল ইউটিএস (Mobile UTS Machine) মেশিন।
বিনা টিকিটে ভ্রমণ বন্ধ, বসল নয়া মেশিন | Mobile UTS Machine at Sealdah
নতুন এই মোবাইল ইউটিএস (Unreserved Ticketing System) চালুর নেতৃত্বে আছেন শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম যশরাম মীনা ও ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা। প্রযুক্তিনির্ভর এই পদক্ষেপে যাত্রী পরিষেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনই রেলের রাজস্বও বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে থেকে নিজের সুবিধে মত টিকিট কেটে নেওয়া যাবে।
মোবাইল ইউটিএস মেশিনের সুবিধা কি কি?
- মোবাইল ইউটিএস মেশিনের মাধ্যমে যাত্রীরা আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করেই দ্রুত টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন।
- প্রবীণ নাগরিক, মহিলা, অসুস্থ ও বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য এটি বিশেষ সুবিধাজনক। কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর কোনো ঝামেলা নেই।
- এই মেশিনগুলি সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়, ফলে বেশি ভিড়ের জায়গায় দ্রুত মোতায়েন করা যায়।
- অতিরিক্ত টিকিটিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করায় যাত্রীদের মধ্যে সমভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
- স্বয়ংক্রিয় টিকিটিং ব্যবস্থায় রেলকর্মীদের চাপ কমেছে, ফলে তারা নিরাপত্তা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করতে পারছেন।
- মোবাইল ইউটিএস মেশিন রিয়েল-টাইমে টিকিট বিক্রির তথ্য সরবরাহ করে, যা যাত্রী চলাচল বিশ্লেষণ ও পরিষেবা পরিকল্পনায় সাহায্য করবে।
আরও পড়ুনঃ PPF এ টাকা লাগিয়েই কোটিপতি, অবসরে মাসে মিলবে ৬০,০০০, দেখুন ইনভেস্টমেন্ট ফর্মুলা
বিনা টিকিটে ভ্রমণ রুখতে রেলের বার্তা
মোবাইল ইউটিএস চালু হওয়ার পর মাত্র তিন দিনে ৯৫২ জন যাত্রী এই পরিষেবা ব্যবহার করেছেন। ইতিমধ্যেই যাত্রীরা এই নতুন প্রযুক্তিকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। ডিআরএম রাজীব সাক্সেনার মতে, “প্রযুক্তিনির্ভর এই পদক্ষেপ শিয়ালদহের যাত্রীবান্ধব ও ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, যার মাধ্যমে আরও আরামদায়ক ও কার্যকর যাত্রাপথ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে”।