বিগত ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা পশ্চিমবঙ্গের পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি ধীরে ধীরে নখদন্ত বের করে বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। সারদা, নারদার পর সারাদেশের সামনে আরো একবার বাংলার মুখ পুড়েছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বহু হেভিওয়েট নেতার। এমনকি পুরো শিক্ষাদপ্তরটাই যেন জেলে চলে গিয়েছে।
পার্থ চ্যাটার্জি এবং তার ঘনিষ্ট বিশেষ বান্ধবীকে গ্রেফতার করার পর ধীরে ধীরে সমস্ত রাঘব বোয়ালরাই জালে পড়ছেন। সারদা কাণ্ডে জেল খেটে আসা আসামি এবং তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য এইনিয়ে সুর অন্য করার চেষ্টা করলেও সদ্যই আবার জেলে ঢুকেছেন তৃণমূল বিধায়ক কুন্তল ঘোষ। তার গ্রেফতারির পর থেকে ভিত নড়ে গিয়েছে সরকারের। বেরিয়ে আসছে একের পর এক নাম।
কুন্তলের সূত্র ধরেই হদিশ মিলেছে নামি-দামি পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তীর (Soma Chakraborty)। ED তদন্তে নামতেই সামনে এসেছে কুন্তল এবং সোমার বিপুল পরিমাণ অর্থ আদান প্রদানের বিষয়ে। আর তারপরই নাম উঠেছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। সল্টলেকের এক শপিংমলে সোমার স্যালোঁর বিজ্ঞাপনের মুখ বনি সেনগুপ্তর প্রেমিকা অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)।
ঘটনাচক্রে বনি সেনগুপ্তকেও তলব করেছে ইডি। আর তারপর থেকেই একের পর এক ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। সোমার পার্লারে কৌশানীর বিজ্ঞাপনের ছবি এক রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। প্রশ্ন উঠছে তারা পূর্ব পরিচিত কিনা। যদিও এবিষয়ে সোমা বলেন, বনির সাথে কুন্তলের আলাপ ছিল, আর সেখান থেকেই কৌশানীর সাথে তার পরিচয়।
কিন্তু ঠিক কত অংকের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন করেছেন কৌশানি? সেই প্রসঙ্গে সোমা বলেন, বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো টাকা না নেওয়ায় তাকে উপহার দিয়েছিলেন সোমা। যদিও ঠিক কী উপহার দিয়েছিলেন তাই নিয়ে কোনো তথ্য সামনে আসেনি। যদিও বনি এবং কৌশনি ছাড়াও যে আরো অনেক টলি সুপারস্টারদের সাথে তার পরিচয় ছিল এই ব্যাপারে নিশ্চিৎ তারা।
এদিকে কুন্তল ঘোষ মাঝেমধ্যেই বড়সড় পার্টি দিতেন। সেখানে আর অন্য কোনো টলি স্টারদের আনাগোনা ছিল নাকিপ্রসঙ্গে সোমা বলেন, “ঘটনার প্রায় পাঁচ-ছয় বছর হয়ে গিয়েছে। যদি কাউকে দেখেও থাকি এই মুহূর্তে সেই নাম প্রকাশ করা ঠিক উচিৎ হবে না।” যদিও কৌশানির বক্তব্য, তিনি সোমাকে মোটেই চেনেন না। তার বক্তব্য, নায়িকা হিসেবে অনেক পার্লার উদ্বোধন করেন তিনি, আলাদা করে সোমাকে নাকি তার মনে নেই। উপহার নিয়েও কিছুই জানাননি তিনি।