শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: (IPL 2025) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ১১০ রানে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল ইতিহাসে রানের দিক থেকে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় পরাজয়। নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে KKR। রবিবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের বড় পরাজয়ের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে বলেছেন যে তাদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা চলতি মরশুমে একটি ইউনিট হিসেবে ভালো খেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
তাঁর দাবি, ‘আমার মনে হয় চলতি মরশুম ছিল আমাদের জন্য উত্থান-পতনে ভরা। আমাদের সুযোগ ছিল এবং আমি আগেই বলেছি, আমরা সেই ম্যাচগুলিতে একটি ইউনিট হিসেবে ভালো খেলতে পারিনি। এই ফর্ম্যাটটা এরকমই। যদি আপনি ক্লোস ম্যাচ জিততে পারেন, তাহলে পার্থক্য গড়ে দেবে। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচ, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ এবং চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ, আমার মনে হয় ওই দুই-তিনটি ম্যাচ একটু অন্যরকম হতে পারত।
‘আমরা আগামী বছর আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব’
এদিন রাহানে আরও বলেন, আমরা একটি কৌশল তৈরি করেছিলাম কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা পুরো ইনিংস জুড়ে অনেক ভুল করেছি। পুরো সিজন জুড়ে, আমাদের কিছু মুহূর্ত ছিল, আমাদের সুযোগ ছিল, ২-৩টি ক্লোস ম্যাচ ছিল, যেখানে আমরা মনে করেছিলাম যে আমরা একটি ইউনিট হিসেবে খেলিনি। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এই ফর্ম্যাটটি সত্যিই কঠিন। কোনও আফসোস নেই, এই মরসুম থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমরা আগামী বছর আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। এদিন বোলারদেরও প্রশংসা করে রাহানে বলেন, হর্ষিত ও বরুণ ভালো বল করেছে। প্রত্যেকেই প্রশংসাযোগ্য। জানিয়ে রাখি, বরুণ চক্রবর্তী ও বৈভব অরোরা ১৭টি করে উইকেট নিয়েছেন। হর্ষিত রানা ১৫টি উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘কিং কোহলি’ কত টাকার সম্পত্তির মালিক? জানলে হাঁফিয়ে যাবেন
অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন!
আগামী সিজনে রাহানে অধিনায়ক থাকবেন কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গোটা সিজনে আলোচনায় ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। মেগা নিলামে ২৩.৭৫ কোটি টাকায় দলে নিয়ে সহ-অধিনায়কও করা হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি ১১ ম্যাচে মাত্র ১৪২ রান করেই হতাশ করেন তিনি। আবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে রাহানে ৩৯০ রান করেছেন।
প্রতিযোগিতাটা এমনই ছিল
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে একতরফা ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে রেকর্ড ১১০ রানে হারিয়েছে। দুটি দলই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। কিন্তু ম্যাচটিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে দুজনেই কোনও কসরত রাখেননি। এর আগে, হেনরিখ ক্লাসেনের ১০৫ এবং ট্র্যাভিস হেডের ৭৬ রানের সুবাদে হায়দ্রাবাদ তিন উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করে। ক্লাসেন আইপিএলের তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। হায়দ্রাবাদ পাঁচবার এক ইনিংসে ২৫০-এর বেশি রান করা প্রথম দল হয়ে উঠেছে। বলা বাহুল্য, টার্গেট তাড়া করতে নেমে কলকাতা দল শুরু থেকেই চাপের মধ্যে ছিল। সুনীল নারাইন ৩১ রান করেন। কিন্তু কেকেআরের মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়। মনীশ পান্ডে এবং হর্ষিত রানা শেষ ওভারে কিছু শট মারলেও ততক্ষণে কলকাতা ম্যাচটি হেরে গিয়েছে। এটি ছিল হায়দ্রাবাদের মৌসুমের ষষ্ঠ জয় এবং তারা পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে।