শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: পূর্ব রেলের (Eastern Railway) বড় খবর। স্টেশনে পৌঁছে টিকিট না থাকলে জরিমানার চিন্তা আর করতে হবে না। টিটিইরা এখন স্টেশনেই টিকিট দিচ্ছেন! আসলে, ভারতীয় রেল সর্বদা যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুবিধা বাড়ানোর জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। তা সে ‘কবচ’-এর মতো নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে হোক বা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো দ্রুতগামী ট্রেনের মাধ্যমে হোক।
সম্প্রতি, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগ যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে হাজির। এই নতুন উদ্যোগটি স্টেশনগুলিতে টিকিট চেকিংকে অনেক সহজতর করে তুলছে, বিশেষ করে যাদের আগে থেকে টিকিট নেই তাঁদের জন্য। শিয়ালদহ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতেও দেখানো হয়েছে যে কাকদ্বীপ রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট চেকাররা এখন সরাসরি স্টেশনে “স্পট টিকিট” দিচ্ছেন।
এটি যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও সহজ করার প্রচেষ্টার অংশ। বিশেষ করে ব্যস্ত গঙ্গাসাগর মেলার মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময়, যেখানে অনেক তীর্থযাত্রী ট্রেনেই যাতায়াত করেন। আর গঙ্গাসাগরে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের কাকদ্বীপ স্টেশনে নামতে হয়। তাই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকে সহজেই টিকিট কিনতে সাহায্য করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে এই নতুন ব্যবস্থাটি।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে ভিডিয়োতে?
ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে টিকিট চেকাররা মোবাইল ইউটিএস (আনরিজার্ভড টিকিটিং সিস্টেম) ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে টিকিট প্রদান করছেন। এমনকি ভিডিয়োতে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের টিকিট কিনতে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের সহায়তা করতেও দেখা গিয়েছে, যাতে সবাই দ্রুত এবং সহজে টিকিট পেতে পারেন। শিয়ালদহ বিভাগের মতে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল টিকিট প্রক্রিয়া দ্রুত এবং আরও যথাযথ করা। মোবাইল ইউটিএস সিস্টেম যাত্রীদের, বিশেষ করে বয়স্কদের, দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়িয়েই টিকিট কিনতে সাহায্য করে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা তীর্থযাত্রীদের তাঁদের পথ খুঁজে পেতে এবং ভ্রমণের সময় তাঁদের পথ দেখাতেও সহায়তা করছেন।
বলা বাহুল্য, এই নতুন পদ্ধতিটি অনেকের কাছে, বিশেষ করে বয়স্ক যাত্রীরা, যারা দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে অসুবিধা বোধ করেন, তাঁদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বেশিরভাগই এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন যে এটি ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক করে তোলে। লক্ষ্মীকান্তপুরের একজন ব্যক্তি বলেছেন, ‘আমি এই নিয়ম খুবই পছন্দ করছি। আমরা চাই এটি এমন ভাবেই চলতে থাকুক।’ তবে, কেউ কেউ মনে করেন যে যারা আগে থেকে টিকিট কেনেন না তাঁরা এই ধরনের পরিবর্তন সহজে গ্রহণ করবেন না। তবে, ওয়াকিবহাল মহলের দাবি যদি রেলের এই প্রচেষ্টা সফল হয়, তাহলে এটি সারা দেশের স্টেশনগুলিতে একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠতেই পারে।