শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: মঙ্গলবার কলকাতার বুকে শোকের ছায়া! ভারতীয় জনতা পার্টির প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত (Srinjoy Dashgupta) মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার শাপুরজি অ্যাপার্টমেন্টে তার ফ্ল্যাট থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাঁর মৃত্যু ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে।
কীভাবে মৃত্যু হল দিলীপ ঘোষের সৎছেলের?
জানা গিয়েছে, ২৮ বছর বয়সী সৃঞ্জয় (Srinjoy Dashgupta) একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং একই ফ্ল্যাটে একা থাকতেন। পুলিশের মতে, শৃঞ্জয়ের ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যার কারণে প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার সম্ভাবনা দেখেছিল। সকালে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিউটাউনের টাটা মেডিকেল সেন্টারের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর, পুলিশ মৃতদেহটি আর.জি.-তে পাঠায়, পোস্টমর্টেমের জন্য। এরপর শুরু হয় ময়নাতদন্ত। অবশেষে এল তারই রিপোর্ট।
সূত্রের খবর ময়নাতদন্তের ৫-৬ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ, অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। এর অর্থ তাঁর অগ্ন্যাশয়ে কোনও প্রদাহ হয়েছিল। তাছাড়া সৃঞ্জয়ের হৃদ্যন্ত্র, লিভার এবং কিডনির আকার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বড়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে এই লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে। যদিও নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যাচ্ছে যে সৃঞ্জয়ের মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে বাকিটা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরপরই শোকের ছায়া দিলীপের সংসারে! রহস্যমৃত্যু স্ত্রী রিঙ্কুর আগের পক্ষের ছেলের, উদ্ধার মৃতদেহ
প্রসঙ্গত, সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত ছিলেন রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম স্বামীর পক্ষ থেকে পুত্র। রিঙ্কু এবং দিলীপ ঘোষ ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেন। বিয়ের এক মাসও পার হয়নি এবং এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের সময় সৃঞ্জয় রাজ্যের বাইরে ছিলেন এবং বিয়েতে যোগ দিতে পারেননি, কিন্তু তিনি ফোনে মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি একটি উপহার নিয়ে ফিরে আসবেন। কিন্তু ফিরেও আর মাকে সুখী দেখা হল না ছেলের। এ ঘটনায় মর্মাহত দিলীপ ঘোষ। হতাশ চিত্তের সংবাদ মাধ্যমকে দুর্ভাগ্যের কথা স্মরণ করে জানান, পুত্রসুখ ছেড়ে পুত্রশোক হল। কীভাবে এমনটা ঘটে গেল, বুঝতে পারছেন না ভারতীয় জনতা পার্টির এই প্রবীণ নেতা।