নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালির প্রিয় অভিনেত্রীর কথা উঠলে প্রথমে আসে মহানায়িকা সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) নামটা। উত্তম কুমারের সাথে তার জুটি আজও টলিউডের সর্বসেরা জুটি মানেন সকলেই। তবে সুচিত্রা সেনের অভিনয়ের আসার সাথে জুড়ে রয়েছে তাঁর বিয়ের কাহিনী। যার কিছুটা জানলেও পুরোটা আজও অনেকেরই অজানা। পুরীতে ঘুরতে গিয়েই বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল তাঁর। আজ সেই কাহিনীই রইল আপনাদের জন্য।
সুচিত্রা সেনের জন্ম অবিভক্ত বাংলাদেশে। ইন্দিরাদেবীর কোলে জন্ম হয়েছিল অভিনেত্রীর। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান। তাই বাবা-মা আর ভাই বোনেদের সাথেই দিব্যি বড় হয়ে উঠছিলেন তিনি। তবে তাঁর মা-বাবার দেওয়া নাম ছিল রমা। এরপর একসময় সপরিবারে পুরি বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মেলে বিয়ের প্রস্তাব। তারপর রমা থেকে আজকের সকলের পরিচিত সুচিত্রা সেন হয়ে যান তিনি।
আসলে জগন্নাথ দর্শক করতে গিয়েই রমাকে পছন্দ হয়ে যায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দিবানাথ সেনের ঠাকুমার। সিএ মুহূর্তেই তাঁকে নাতির বউ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। আসলে তিনি ভেবেছিলেন অবাধ্য নাতিকে যদি বিয়ে দিয়ে সংসারী করা যায়। এই প্রস্তাবে না করেনি দাশগুপ্ত পরিবার। ফলে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় দিবানাথ ঠাকুর ও রমা (সুচিত্রা সেনের)।
আরও পড়ুনঃ ব্যাকআপ ভোকালিস্ট থেকে প্রতিযোগী! ‘সারেগামাপা’য় সপ্তপর্ণীকে বিজেতা ঘোষণা করলেন শান্তনু মৈত্র
বিয়ের পর কলকাতার বড় বনেদি বাড়ির বউ হলেও সেখানে দম আটকে যেত রমার। খালি মনে পড়ত ভাই-বোন থেকে শুরু করে মা-বাবার কথা। তারপর একসময় সুন্দরী স্ত্রীকে সিনেমার জগতে নিয়ে আসেন খোদ স্বামী দিবানাথ। তবে সিনে দুনিয়ায় পা রাখার আগেই নাম বদলে নেন। সেদিনের রমা হয়ে ওঠেন সুচিত্রা সেন। তবে সুচিত্রা ছাড়াও কেউ তাকে চেনেন মহানায়িকা হিসাবে তো কেউ চেনেন স্বপ্ন সুন্দরী হিসাবে।
প্রসঙ্গত, সুচিত্রা সেনের ‘ সাত কয়েদী’ অনেকেই জানেন। তবে যেটা জানেন না সেটা হল এর আগে ‘শেষ কোথায়’ ছবিতে প্রথম কাজ করেন তিনি, কিন্তু সেটা রিলিজ হয়নি। উত্তম কুমারের সাথে তাঁর প্রথম ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ পরবর্তীকালে আরও ৩০টির মত ছবিতে একসাথে কাজ করেছিলেন তাঁরা।